ডোনার কাবাবের স্বত্ব নিয়ে জার্মানি ও তুরস্কের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধ নিষ্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ডোনার কাবাবের স্বত্ব নিয়ে জার্মানি ও তুরস্কের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধ নিষ্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে দ্য ইকোনমিস্ট। সংবাদমাধ্যমটির মতে, ইইউ উভয় দেশকে সমঝোতায় পৌঁছনোর জন্য ছয় মাস সময় দেবে, অথবা কাবাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে।
ডোনার কাবাব নিয়ে বিরোধ শুরু হয়েছিল দুই বছর আগে। আঙ্কারা তখন খাবারটিকে তুরস্কের বিশেষত্ব হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ইইউতে আবেদন করে। যেমন ইতালির নিয়াপলিটান পিৎজা বা স্পেনের জামন সেরানোর মতো খাবারকে বিশেষ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তুরস্ক ইইউর সদস্য না হলেও ব্লকটিতে ট্র্যাডিশনাল স্পেশালিটিজ গ্যারান্টেড (টিএসজি) নামে একটি স্কিম রয়েছে, যা সদস্যরাষ্ট্র বা তৃতীয় দেশকে ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে সুরক্ষিত করার জন্য আবেদনের সুযোগ দেয়। টিএসজি মর্যাদা পেলে পুরো ইইউজুড়ে ডোনারকে আঙ্কারার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুত করতে হবে।
গত এপ্রিলে ব্রাসেলস তুরস্কের জন্য খাবারটি নিবন্ধনের একটি প্রাথমিক চুক্তি ইস্যু করে এবং আঙ্কারার আবেদন নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। তবে সেখানে বাধ সাধে জার্মানি। দেশটিতে তুর্কি অভিবাসীদের মাধ্যমেই ১৯৭০-এর দশকে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ডোনার কাবাব। তুরস্কের আবেদনের কিছু বিবরণ, যেমন মাংসের ধরন ও অন্যান্য উপাদানের বিষয়ে আপত্তি তোলে বার্লিন। জার্মানি বারবার যুক্তি দিয়েছে যে আঙ্কারাকে টিএসজি মর্যাদা দেয়া হলে জার্মানিতে স্থানীয় মাংস উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে এবং খাবারটির খরচ বাড়াতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশন তুরস্কের আবেদনের বিরুদ্ধে ১১টি আপত্তি পেয়েছে। কমিশন গত ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ আপত্তিগুলোর কোনো বৈধতা আছে কিনা, তা নির্ধারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
ইউরোপীয় কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ইউরোপে ডোনার কাবাব বিক্রি বছরে ৩৫০ কোটি ইউরো (প্রায় ৪০০ কোটি ডলার) ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩০ কোটি ইউরোর কাবাব বিক্রি হয় জার্মানিতেই। আঙ্কারার আবেদন মঞ্জুর হলে ইইউতে নিবন্ধিত প্রথম তুর্কি ঐতিহ্যবাহী পণ্যের নাম হবে ডোনার কাবাব।
সুত্র : দ্য ইকোনমিস্ট।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন