সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) বন্ধের কারণ জানালেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতা বন্ধের জন্য নয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এক্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পাকিস্তানে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে এক্স। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সামালোচনা। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এক্স এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যটি বন্ধ করেছিল।
বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করছে। যার অনুমোদন দেয়া হবে না বলেও জানান তারার। তিনি বলেন, কোনো ধরনের চেক ছাড়াই সন্ত্রাসীরা এক্সে লাইভ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এতে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন তিনি। শাহবাজ শরিফ বলেন, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান উপযুক্ত জবাব দেবে। ভাষণে তিনি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে গাজার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, সেখানেও মানুষ স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে।
পাকিস্তানের নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা নাটকীয়তার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ‘বন্ধ’ করে দেয়া হয় মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ এ ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করে। তখন মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায়। ‘জনগণের অধিকারের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগও করে সংস্থাটি।
অনেক ব্যবহারকারীর অভিযোগ, নির্বাচনের দুইদিন পর থেকে পাকিস্তানে এক্সে শুধু ভিপিএন ব্যবহার করে ঢোকা যাচ্ছে। কারণ অনলাইনে ভোট কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া ভোট গণনার স্বচ্ছতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রশ্ন তোলার পর এক্স বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সূত্র : জিও নিউজ।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন