ব্যক্তিগত সম্পদের দিক থেকে ম্যাকডোনাল্ডস ও পেপসির মতো জায়ান্ট কোম্পানিকে ছাড়িয়ে গেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ২৭০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে স্টক এনালাইসিসের তথ্যমতে, বর্তমানে ম্যাকডোনাল্ডসের মূল্য প্রায় ২২০ বিলিয়ন ডলার। আর পেপসির মালিকানাধীন কোম্পানি পেপসিকোর বর্তমান কোম্পানি মূল্য প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের শুরুতে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ছিল ২২৯ বিলিয়ন ডলার। যদিও গত এপ্রিলে তার সম্পদের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৬৪ বিলিয়নে। তখন টেসলার শেয়ারের দাম প্রায় ৪০ ভাগ কমে গিয়েছিল।
তবে শুধু গত আগস্ট মাসেই মাস্কের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৫০ বিলিয়ন। চলতি বছর সর্বোচ্চ সম্পদ আয় করা ব্যক্তিদের তালিকায় তার অবস্থান চতুর্থ।
এক্ষেত্রে তার থেকে বেশি সম্পদ আয় করেছেন মেটার মার্ক জাকারবার্গ, এনভিডিয়ার জ্যানসেন হুয়াং, ওরাকলের ল্যারি এলিসন। মাস্ক যদিও বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তবে এই ধনকুবের পূর্বে এরচেয়েও বেশি অর্থের মালিক ছিলেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৩৪০ বিলিয়ন ডলারে। বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া, ব্রেইন ইমপ্ল্যান্ট থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে নিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারিত করছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করছেন।
ইনফর্মা কানেক্ট অ্যাকাডেমির তথ্যমতে, ২০২৭ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থবিত্তের মালিক বনে যেতে পারেন তিনি। কেননা তার সম্পদের পরিমাণ প্রতি বছর দ্রুতগতিতে ১১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনটা অব্যাহত থাকলে তিনিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে।
ইলন মাস্ক ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে প্রবেশ করবেন কি-না সেটা অনেকটাই নির্ভর করছে তার গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার সাফল্যের ওপর। কোম্পানিটির বর্তমান মূল্য ৭১০ বিলিয়ন ডলার। যা কি-না কোকা-কোলা, ব্যাংক অব আমেরিকা ও বোয়িংয়ের মোট মূল্যের থেকেও বেশি।
টেসলার শেয়ারের ১৩ শতাংশের মালিক মাস্ক, যার বর্তমান মূল্য ৯৩ বিলিয়ন ডলার। ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের সিনিয়র ইকুয়িটি এনালিস্ট ড্যান ইভস বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, টেসলার সম্পূর্ণ সেল্ফ-ড্রাইভিং, রোবোটিকস এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রযুক্তির ভবিষ্যতকে পুঁজি করে আগামী বছরগুলোয় মাস্ক নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন