ভারতে চালের রফতানি মূল্য স্থিতিশীল, ভিয়েতনামে ঊর্ধ্বমুখী – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন

ভারতে চালের রফতানি মূল্য স্থিতিশীল, ভিয়েতনামে ঊর্ধ্বমুখী

  • ২২/০৯/২০২৪

বিশ্বে চালের শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারত। দেশটিতে সম্প্রতি চালের মজুদ আগের তুলনায় বেড়েছে। এ কারণে দেশটির সরকার নন-বাসমতী চালের রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বিবেচনা করছে। নিষেধাজ্ঞা শিথিলের প্রত্যাশায় বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চাল আমদানি আপাতত বন্ধ রেখেছেন। এ কারণে দেশটিতে চলতি সপ্তাহে চালের রফতানি মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
ভারতে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের রফতানি মূল্য ছিল টনপ্রতি ৫২৮-৫৩৪ ডলার, যা গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত। সে সময় দেশটিতে চালের রফতানি মূল্য গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের পর সর্বনিম্নে নেমেছিল। দিল্লিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমদানিকারকরা ভারত থেকে চাল ক্রয় আপাতত বন্ধ রেখেছেন।’ তারা আশা করছেন, ভারত নন-বাসমতী চালের রফতানি কর কমাতে পারে।
বিশ্বব্যাপী চালের শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ভিয়েতনাম। দেশটির কিছু অঞ্চলে বন্যার কারণে চালের সরবরাহ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ কারণে ভিয়েতনামে চলতি সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে পণ্যটির দাম।
এদিকে ভারতের কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভারি বৃষ্টি ও কিছু রাজ্যে বন্যা থাকা সত্ত্বেও চলতি বছর ভারতে চাল উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘শুধু ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কিছু অঞ্চলে বন্যা হয়েছে। এতে চাল উৎপাদনে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। বরং চলতি বছর উৎপাদন বাড়বে।’
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকার গত বছর নন-বাসমতী চালের রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। চলতি বছরও তা অব্যাহত রাখে। ভারত গত সপ্তাহে কৃষকদের কথা বিবেচনা করে ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানি বাড়াতে বাসমতী চাল রফতানিতে ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) বাতিল করে দেয়।
সরকারি সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশটির কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (এপিইডিএ) এর আগের সপ্তাহে এমইপি ছাড়াই বাসমতী চালের রফতানি নিবন্ধন করার নির্দেশ পাঠিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরো জানায়, এপিইডিএ বাসমতী চালের রফতানি চুক্তিগুলো ‘যেকোনো অবাস্তব মূল্য’ নজরদারি করবে।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চালের ন্যূনতম রফতানিমূল্য টনপ্রতি ৯৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সরকার প্রথমে এমইপি টনপ্রতি ১ হাজার ২৫০ ডলার নির্ধারণ করেছিল। পরে এটি কমিয়ে দেয়া হয়। (খবরঃ বিজনেস রেকর্ডার, রয়টার্স)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us