পর্যটন গন্তব্য হিসেবে জাপানের মাউন্ট ফুজি এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। দর্শনার্থীদের বাড়বাড়ন্তের সঙ্গে আসা ঝুট-ঝামেলার কারণে সম্প্রতি বিধিনিষেধ আরোপে বাধ্য হয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। তারই হাওয়া লেগেছে পর্যটনের ভরা মৌসুমে। এক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের গ্রীষ্মের যেকোনো দিনের তুলনায় এবার ১৭ শতাংশ পর্যটন কমেছে ফুজিতে। জুলাইয়ে এ পর্বতে আরোহণের মৌসুম হয়েছিল, যা শেষ হয়েছে ১২ সেপ্টেম্বর। জাপানের পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, এ গ্রীষ্মে মাউন্ট ফুজি সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী পেয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর। এদিন টোকিওর পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ামানাশি প্রিফেকচারের ইয়োশিদা ট্রেইল ধরে ২ হাজার ৯০৫ জন পর্বতারোহণ করেন। গত বছর এ পথে সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছিলেন ১৬ জুলাই। এদিন ট্রেইল ধরে উঠেছিলেন ৩ হাজার ৯৭৪ জন। এবার সেই তুলনায় পর্বতারোহণ কমেছে ২৭ শতাংশ অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশের বেশি। ইয়ামানাশি প্রিফেকচারে এবার দর্শনার্থীদের ওপর বিধিনিষেধের পাশাপাশি ২ হাজার ইয়েন বা ১৪ ডলার ফি নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, ১ জুলাই থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থী কমেছে ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে শিজুওকা প্রিফেকচারের তিনটি ট্রেইলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুজিনোমিয়ার ব্যস্ততম দিন ৭ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ৯৯৩ জন পর্বতারোহী পেয়েছে, যা ২০২৩ সালের ব্যস্ততম দিনের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে দুই প্রিফেকচারে ৭ সেপ্টেম্বর পর্বতারোহী পেয়েছে ৫ হাজার ৯৭৭ জন, যা ২০২৩ সালের সবচেয়ে ব্যস্ত দিনের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। এ বিষয়ে বলা হচ্ছে, গত বছরের গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা অনেকে ভয়াবহ ঠাণ্ডার মধ্যে ঝুঁকি নিয়েও বাইরে রাত কাটিয়েছেন। সেই ভিড়ভাট্টা এবার একদমই ছিল না। বরং রাতগুলো ছিল শুনশান নীরবতায় পূর্ণ। অবশ্য এ কারণে দূষণও ছিল কম। (খবরঃ নিক্কেই এশিয়া ও ছবি রয়টার্স)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন