২০৩০ সাল নাগাদ ইভি বিক্রির লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে ভলভো কারস – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

২০৩০ সাল নাগাদ ইভি বিক্রির লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে ভলভো কারস

  • ০৭/০৯/২০২৪

সুইডিশ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভলভো কারস ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) বিক্রির লক্ষ্য নিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ইভির বাজার খারাপ পরিস্থিতি পার করায় আপাতত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে তারা।
পুরনো গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে ভলভো কারস প্রথম সম্পূর্ণ ইভি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। এমনকি ফোর্ড ও জেনারেল মোটরসের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের শুধু ইভি বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পরও তারা বেশ আশাবাদী ছিল।
বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জিম রোয়ান আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কারণ তুলে ধরে বলেন, ‘ইভির বাজারে পরিবর্তন এসেছে। যথেষ্ট চার্জিং অবকাঠামো না থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। চলতি দশকেই সম্পূর্ণ ইভিতে রূপান্তরের জন্য আমরা প্রস্তুত। তবে বাজার, অবকাঠামো ও গ্রাহকের আস্থা পুরোপুরি ঠিক না হলে আরো কয়েক বছর সময় নেয়া যেতে পারে।’
ভলভোর সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক বিক্রির ৯০-১০০ শতাংশ ইভি ও প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ি রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রমবর্ধমান চাহিদা বাড়ায় তারা হাইব্রিড প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে।
ভলভো জানিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তনের পরও প্রিমিয়াম ইভির চাহিদা বাড়ছে এবং মুনাফার মার্জিন দ্বিতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড ২০ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বিয়র্ন অ্যানওয়াল বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে সম্পূর্ণ ইভি বিক্রিও লাভজনক করতে হবে। আমাদের কৌশল একই রয়েছে। তবে বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার বিষয়ও আছে।’
অন্য গাড়ির তুলনায় সাশ্রয়ী দামের না হওয়ায় আশানুরূপ ইভি বিক্রি হচ্ছে না। প্রচলিত পেট্রলচালিত গাড়ির তুলনায় ইভির জন্য গ্রাহককে ২০-৩০ শতাংশ বেশি ব্যয় করতে হয়। এ কারণে ইভির বৈশ্বিক বাজারের প্রবৃদ্ধি মন্থর। বেশি মন্থর ইউরোপের বাজারে। সম্প্রতি জার্মানিসহ আরো কিছু দেশে ইভি ক্রয়ে উৎসাহিত করতে ক্রেতাদের যে ভর্তুকি দেয়া হতো, তা-ও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বহুজাতিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসির তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাইয়ে ইভি বিক্রি ২০ শতাংশ কমে গেছে। এতে বছর শেষে জার্মানির ইভি আমদানি গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমে ১৫ শতাংশে নেমে আসবে। ইউরোপের বাজারে এ বছর ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ইভি আমদানির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা গত বছরে ছিল ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। (খবরঃ ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us