জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন কমেছে – The Finance BD
 ঢাকা     বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন কমেছে

  • ২৬/০৮/২০২৪

বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন গত মাসে কমেছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন (ওয়ার্ল্ড স্টিল)।
বিশ্বের ৭১টি দেশের ইস্পাত উৎপাদনের তথ্য সংগ্রহ করেছে ওয়ার্ল্ড স্টিল। সংস্থাটির দেয়া তথ্যানুযায়ী, জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। এ সময় মোট ইস্পাত উৎপাদন নেমে এসেছে ১৫ কোটি ২৮ লাখ টনে।
চীন বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক ও ব্যবহারকারী দেশ। সেখানে লম্বা সময় ধরে আবাসন খাতে টালমাটাল পরিস্থিতি ইস্পাত খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ বয়ে এনেছে। দেশটিতে চাহিদা ও উৎপাদন অনেকটা কমে গেছে। জুলাইয়ে দেশটির এ ধাতবপণ্যের উৎপাদন ৮ কোটি ২৯ লাখ টনে নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ কম।
ইস্পাতের বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধিতে সম্প্রতি প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে ভারত। দেশটিতে চাহিদার পাশাপাশি উৎপাদনও বাড়ছে। ভারত সরকার সম্প্রতি ইস্পাত শিল্পের জন্য উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে বছরে ৫০ কোটি টন ইস্পাত উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। গত মাসে ভারতের ইস্পাত উৎপাদন ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটির উৎপাদন পৌঁছেছে ১ কোটি ২৩ লাখ টনে।
একই সময় জাপানের ইস্পাত উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৭১ লাখ টনে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জুলাইয়ে অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। উৎপাদন নেমেছে ৬৯ লাখ টনে। একই সময় রাশিয়ার উৎপাদন ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৬৩ লাখ টন হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্ষিক ইস্পাত উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। উৎপাদন নেমে এসেছে ৫৫ লাখ টনে। একই সময় জার্মানিতে তা বেড়ে ৩১ লাখ টনে পৌঁছেছে। তুরস্কেও এ সময় অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদন পৌঁছেছে ৩১ লাখ টনে।
ব্রাজিলের ইস্পাত উৎপাদন জুলাইয়ে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৩১ লাখ টনে পৌঁছেছে। একই সময়ে ইরানের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
প্রতিবেদনে ওয়ার্ল্ড স্টিল আরো জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের ৭১টি দেশের ইস্পাত উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। এ সময় দেশগুলোর মোট উৎপাদন নেমে এসেছে ১ হাজার ১০ কোটি টনে।
এর আগে এক প্রতিবেদনে ওয়ার্ল্ড স্টিল জানায়, চলতি বছর ধাতুটির বৈশ্বিক চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১৭৯ কোটি ৩০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। ২০২৫ সালেও চাহিদা বাড়ার এ হার অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
Source : আনাদোলু এজেন্সি।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us