ব্যাংক অব সিঙ্গাপুরের নতুন লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্যে – The Finance BD
 ঢাকা     বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

ব্যাংক অব সিঙ্গাপুরের নতুন লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্যে

  • ২৫/০৮/২০২৪

আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে মধ্যপ্রাচ্যে আয় ও সম্পদ দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বেসরকারি খাতের ব্যাংক অব সিঙ্গাপুর। এ সময়ের মধ্যে সিঙ্গাপুরভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক আয়ে অঞ্চলটির অবদান ২০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ব্যাংকটির পরিচালনাধীন সম্পদের (এইউএম) পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। বর্তমানে ব্যাংক অব সিঙ্গাপুরের বুকিং সেন্টার রয়েছে দুটি। একটি সিঙ্গাপুরে, অন্যটি হংকংয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে পরবর্তী সেন্টার খুলতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাংক অব সিঙ্গাপুরের মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের বৈশ্বিক বাজার বিভাগের প্রধান এবং দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টারের প্রধান নির্বাহী রঞ্জিত খান্না বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্য হাতে নিয়েছে ব্যাংক অব সিঙ্গাপুর। ব্যাংকের সামগ্রিক আয়ে অঞ্চলটির বর্তমান অবদান ১০ শতাংশ, যা আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে ২০ শতাংশে উন্নীত হবে।’
ব্যাংক অব সিঙ্গাপুরের বেশির ভাগ সম্পদ এখনো সিঙ্গাপুর ও হংকংকেন্দ্রিক। তবে রঞ্জিত খান্না বলেন, ‘ইউএই বিশেষত দুবাই কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী মিলিয়নেয়ারদের প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এছাড়া দেশটির সরকার ধনীদের আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। অবকাঠামোগত ও ব্যবসায়িক পরিবেশও উন্নত করা হয়েছে। পাশাপাশি ধনীদের জন্য গোল্ডেন ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আগামী ১০ বছরে সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য বেশ এগিয়ে থাকবে।’
ইউএই ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন দুই দেশের বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে চীন থেকে দুবাইয়ে সম্পদ স্থানান্তরের প্রধান কারণ হলো গোল্ডেন ভিসা ও সহজ ব্যবসা সুবিধা। রঞ্জিত খান্না জানান, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে দুবাইয়ে ধনীদের পাড়ি জমানোর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের ‘গ্লোবাল ওয়েলথ ২০২৪ প্রতিবেদন’ অনুসারে, বিশ্বজুড়ে সম্পদ ব্যবস্থাপকদের মাঝে মধ্যপ্রাচ্য জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় আর্থিক সম্পদ, দায় ও স্থাবর সম্পদ মিলিয়ে নিট সম্পদ বেড়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, যা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির গড় ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে খানিকটা বেশি। এছাড়া অঞ্চলটিতে সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি দেখেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যার পরিমাণ ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। (খবরঃ অ্যারাবিয়ান বিজনেস)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us