যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ সয়াবিন উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সে অনুসারে, দেশটিতে এ বছর ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ বুশেল সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪২ কোটি ৪০ লাখ বুশেল বা ১০ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি ইউএসডিএর এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সয়াবিন উৎপাদনের এ পূর্বাভাস জুলাইয়ে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায়ও ১৫ কোটি ৪০ লাখ বুশেল বা ৩ দশমিক ৫ বুশেল বেশি। এর আগে দেশটির বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা ৪৪৬ কোটি ৯০ লাখ বুশেল সয়াবিন উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, যা ইউএসডিএর পূর্বাভাসের তুলনায় ৩ শতাংশ কম।
ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর প্রতি একরে ৫৩ দশমিক ২ বুশেল সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। গত বছর প্রতি একরে ৫০ দশমিক ৬ বুশেল সয়াবিন উৎপাদন হয়েছিল। এর আগে মার্কিন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা একরপ্রতি ৫২ দশমিক ৫ বুশেল উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, যা ইউএসডিএর পূরর্বাভাসের তুলনায় প্রায় এক বুশেল কম।
দেশটির কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর ৮ কোটি ৭১ লাখ একর জমিতে সয়াবিন রোপণ করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। সে বছর ৮ কোটি ৩৬ লাখ একর জমিতে সয়াবিন রোপণ করা হয়েছিল। এছাড়া তেলশস্যটির আবাদসংক্রান্ত আগস্টের প্রতিবেদনে জুনের তুলনায় ১০ লাখ একর জমিতে বেশি সয়াবিন চাষের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া শস্য আহরণের পরিমাণও বাড়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ সয়াবিন উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।
যদিও এর আগে বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা ধারণা করেছিলেন, জুন ও জুলাইয়ে মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান উৎপাদন অঞ্চলে বন্যার কারণে জমির পরিমাণ কমে যাবে। ইউএসডিএর প্রতিবেদন জুনের শুরুতে করা জরিপের ওপর ভিত্তি করে। ফলে ওই প্রতিবেদনে বন্যার কারণে হারানো জমির পরিসংখ্যান আসার সুযোগ ছিল না। তাই ব্যবসায়ীরা কম জমিতে সয়াবিন চাষের কথা বললেও ইউএসডিএর প্রতিবেদনে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।
গ্লোবাল রিস্ক ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ও মালিক ব্রায়ান হ্যারিস বলেন, ‘মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার ফলে মোট জমি ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ একর পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এর পরিবর্তে জমির পরিমাণ ১০ লাখ একর বেড়ে গেছে।’ (খবর: ওয়ার্ল্ড-গ্রেইন ডটকম)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন