বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ নির্মাতা হিসেবে পরিচিতি ও খ্যাতি জার্মানির মায়ার ওয়ারফটের। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার পর ২২৯ বছর পার করতে চলেছে। সম্প্রতি বাজেট সংকটে প্রায় ডুবতে বসেছে মায়ার ওয়ারফট। এ পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের পাপেনবার্গভিত্তিক এ শিপইয়ার্ড পরিদর্শনকালে গত সপ্তাহে ওলাফ শুলজ জানান, মায়ার ওয়ারফটের সমস্যা সমাধানে সরকার অবদান রাখবে। এমনও প্রত্যাশা করেন যে, এ প্রকল্পে অন্য অংশীদাররা যোগ দেবে। ১৭৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মায়ার ওয়ারফট শুরুর দিকে কাঠের ছোট নৌযান তৈরি করত। বর্তমানে এ শিপওয়ার্ডে ৩ হাজার ৩০০ কর্মী রয়েছেন। সর্বশেষ প্রযুক্তি ও চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে এগিয়ে থাকলেও ২৭০ কোটি ইউরোর সংকটে ভুগছে সংস্থাটি। জার্মান গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লোকসান ও পুনর্গঠন খরচ মেটাতে ২৩০ কোটি ইউরো চলতি মূলধন ও ৪৮০ কোটি ইউরো ইকুইটি প্রয়োজন। মায়ার ওয়ারফটের আর্থিক সমস্যায় চাহিদা কমার কোনো ভূমিকা নেই, বরং অর্থায়নে প্রয়োজনীয় তহবিল নেই এর ভাণ্ডারে। সপ্তাহ দুই আগে সংস্থাটি জানিয়েছিল, সম্প্রতি ডিজনির সঙ্গে নতুন চুক্তি হয়েছে। এ হিসেবে ডিজনি ক্রুজ লাইনে আটটি প্রমোদতরী সরবরাহ করবে। এর আগে মায়ার ওয়ারফট জানিয়েছে, ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাদের শিডিউল পূর্ণ রয়েছে। সাধারণত ডেলেভারির সময় দামের ৮০ শতাংশ পরিশোধ করেন জাহাজ ক্রেতারা। এ কারণে নির্মাণকালে প্রায় পুরো নগদপ্রবাহ উৎপাদককে সরবরাহ করতে হয়। মূলত মহামারীকালীন চাহিদার মন্দা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি এ জাহাজ নির্মাতা। এর সঙ্গে রয়েছে বেড়ে চলা উপকরণ ও শ্রম খরচ। পরিদর্শনকালে মায়ার ওয়ারফটের কর্মীদের প্রশংসা করেন চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ। তিনি জানান, জার্মানজুড়ে এ কোম্পানির ওপর নির্ভর করছে ১৭ হাজার চাকরি। মায়ার ওয়ারফটকে সরকার কীভাবে সাহায্য করবে তা চ্যান্সেলর স্পষ্ট না করলেও জার্মানি গণমাধ্যম বলছে, ফেডারেল ও রাজ্য সরকার সাময়িকভাবে কোম্পানির কমপক্ষে ৮০ শতাংশ অধিগ্রহণ করবে ও ৪০ কোটি ইউরো ইকুইটি সরবরাহ করবে। (খবরঃ ইউরো নিউজ ও ছবি এপি)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন