আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় পাওয়া গেল ২ হাজার ৪৯২ ক্যারেটের একটি হীরা। কানাডিয়ান সংস্থা লুকারা ডায়ামন্ডের খনিতে পাওয়া এ রত্ম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা। তবে এ-যাবৎ বতসোয়ানায় পাওয়া বৃহত্তম হীরা এটি। এর আগে ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মিলেছিল ৩ হাজার ১০৬ ক্যারেটের কুলিনান ডায়ামন্ড, যা সাম্প্রতিক হীরাটির আকারের দিক থেকে বড়। অবশ্য কুলিনানের আকার এখন আর প্রাথমিক অবস্থায় নেই। এটি নয়টি আলাদা আলাদা ভাগে ব্রিটিশ রাজকীয় মুকুটে শোভা বাড়াচ্ছে। বতসোয়ানার রাজধানী গাবোরোন থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের কারোওয়ে খনিতে নতুন হীরাটি পাওয়া গেছে। দেশটির সরকার জানায়, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশটিতে এত বড় হীরা আগে পাওয়া যায়নি। এতদিন বৃহত্তম ছিল ২০১৯ সালে পাওয়া ১ হাজার ৭৫৮ ক্যারেটের একটি হীরা। উত্তোলনের পর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হীরাটি জনসম্মুখে তুলে ধরেন বতসোয়ানার রাষ্ট্রপতি মোকগওয়েটসি মাসিসি। বতসোয়ানা অন্যতম বৃহত্তম হীরা উৎপাদক দেশ, যেখানে বিশ্বের মোট হীরার ২০ শতাংশ উত্তোলিত হয়। এক বিবৃতিতে লুকারা বলেছে, এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় রাফ হীরাগুলোর একটি। সংস্থার প্রধান উইলিয়াম ল্যাম্ব বলেন, ‘অসাধারণ এ ২ হাজার ৪৯২ ক্যারেট হীরা উত্তোলন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ মেগা ডায়মন্ড রিকভারি এক্স-রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে হীরাটি শনাক্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে উচ্চ মূল্যের হীরা শনাক্ত ও সংরক্ষণ করতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে লুকারা। এতে আকরিক চূর্ণ প্রক্রিয়ার সময় রত্মপাথর ভেঙে পড়ে না। তবে পাথরটির রত্নগুণ বা এর মূল্যের বিশদ বিবরণ দেয়নি লুকারা ডায়ামন্ড। যদিও যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে লুকারার একটি সূত্র জানিয়েছে, হীরাটির দাম ৪ কোটি ডলার হতে পারে। কারোওয়ের খনিটির শতভাগ মালিকানা লুকারা ডায়ামন্ডের। সম্প্রতি খনির মালিকানা সংক্রান্ত নতুন একটি আইন প্রস্তাব করেছে বতসোয়ানার সরকার। যেখানে বলা হচ্ছে, বিদেশী কোম্পানিগুলো পুরোপুরি মালিকানা ধরে রাখতে পারবে না। সরকার যদি কেনার সিদ্ধান্ত না নেয় তবে স্থানীয় কোম্পানির কাছে ২৪ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। (খবর বিবিসি ও ছবি এপি)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন