সি চিন পিং প্যারিস অলিম্পিকে রৌপ্য পদক জয়ের জন্য ফিজি পুরুষদের রাগবি সেভেনস দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফিজি হল প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ যেটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আগামী বছর চীন ও ফিজির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী পালিত হবে। প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে দুটি দেশ সর্বদা একে অপরকে সমর্থন এবং সাহায্য করে আসছে। বড় এবং ছোট দেশের মধ্যে সমান আচরণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। চীন ফিজির সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং ফিজির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সর্বাত্মক সহায়তা করতে, ফিজির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাধারণ দিকটি নির্ধারণ করতে এবং চীন-ফিজির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলতে ইচ্ছুক।
সি চিন পিং রাবুকার ইউননান, ফুচিয়েন এবং চিচিয়াং সফরের পরিস্থিতি এবং অনুভূতির উপর ভিত্তি করে দারিদ্র্য বিমোচনে চীনের অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১.৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সার্বিক সচ্ছল সমাজে প্রবেশ করা হলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চীনা জনগণের একটি ঐতিহাসিক অর্জন এবং মানবজাতির দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি চীনের একটি ঐতিহাসিক অবদানও। বর্তমানে চীন, চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী দেশ নির্মাণ এগিয়ে নিচ্ছে। চীনা-শৈলী আধুনিকীকরণ হল শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথকে অনুসরণ করা আধুনিকীকরণ। চীন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে এবং উন্নয়ন ও সহযোগিতা জোরদার করতে ফিজি এবং অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্যারিস অলিম্পিকে চমৎকার ফলাফলের জন্য রাবুকা চীনা ক্রীড়া প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এই সফরকালে আমি ইউননান, ফুচিয়েন, চেচিয়াং এবং অন্যান্য স্থান পরিদর্শন করেছি এবং নিজের চোখে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট সি’র নেতৃত্বে চীন যে বড় অভাবিত সাফল্য অর্জন করেছে তা প্রত্যক্ষ করেছি। ফিজি, চীনের উন্নত ধারণা এবং সাফল্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো এবং সংযোগসহ নানা ক্ষেত্রে চীনের সাথে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়। ফিজি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতিতে চীনের আনুগত্যের প্রশংসা করে, প্রেসিডেন্ট সি’র প্রস্তাবিত ধারাবাহিক বৈশ্বিক উদ্যোগকে সমর্থন করে এবং চীনের সাথে যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে’র আওতায় নির্মাণ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। ফিজি তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থান পুরোপুরি বোঝে এবং দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করবে। উভয়পক্ষ ‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং ফিজি প্রজাতন্ত্রের যৌথ বিবৃতি’ প্রকাশ করেছে। (Source: CRJ Online)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন