ভুট্টা রফতানি বাড়ায় চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের শস্য রফতানি আগের তুলনায় ১২ শতাংশ বাড়তে পারে। এ বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটির রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ভুট্টা ও সয়াবিন আহরণের পর রফতানি আরো বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বিমকোর এক বিশ্লেষণে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
বিমকোর রফতানি বিশ্লেষক ফিলিপ গুভেইয়া জানান, মিসিসিপি নদীর পানির স্তর স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। এতে সমুদ্রবন্দর দিয়ে শস্য রফতানিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শস্য রফতানিকারক। দেশটির ৮১ শতাংশ রফতানি সমুদ্রপথে হয়। তবে বৈশ্বিক রফতানিতে দেশটির হিস্যা ক্রমেই কমছে। ২০২১ সালে বৈশ্বিক মোট রফতানির ২৪ শতাংশ আসত যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ২০২৩ সালে তা কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। মূলত ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না দেশটি। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কম দামে শস্য রফতানি করে দেশ দুটি।
অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ আমদানিকারক চীনও যুক্তরাষ্ট্র থেকে শস্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। ২০২১ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৭ শতাংশ শস্য আমদানি করেছিল। কিন্তু গত বছর তা কমিয়ে ২৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সাশ্রয়ী দামের কারণে ২০২২ সালে ব্রাজিল থেকে এবং গত মে মাসে আর্জেন্টিনা থেকে ভুট্টা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুট্টা রফতানি বাড়লে বিশ্বব্যাপী শস্য সরবরাহ বাড়বে। এতে বড় জাহাজগুলোর চাহিদাও বাড়বে। তবে শিপিং রুট পরিবর্তনের কারণে জাহাজগুলো খুব বেশি লাভ নাও করতে পারে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র এখন কাছাকাছি দূরত্বে মেক্সিকো ও কলম্বিয়ায় বেশি শস্য রফতানি করছে। অন্যদিকে চীনে রফতানি কমেছে। পানামা খালের সমস্যার কারণে চীনে পৌঁছতে কিছু জাহাজকে দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে।
এদিকে পানামা খালের অবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে জাহাজের যাত্রাপথ কমে গেলে বড় জাহাজের চাহিদাও কমতে পারে। এশিয়ায় রফতানি না বাড়লে চাহিদা বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।
Source: হেলেনিক শিপিং নিউজ।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন