যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই কোম্পানিটি ২০২৩ সালের জুনে প্রথমবার ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছায়। তারপর থেকে তাদের শেয়ারের দাম দ্রুত বাড়তে থাকে।
বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছেছে চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। খবর বিবিসি’র। বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ২.৪ শতাংশ বেড়ে ১৬৪ ডলার হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চাহিদা বাড়তে থাকায় এনভিডিয়া ক্রমেই লাভবান হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই কোম্পানিটি ২০২৩ সালের জুনে প্রথমবার ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছায়। তারপর থেকে তাদের শেয়ারের দাম দ্রুত বাড়তে থাকে।
টেক বিশেষজ্ঞ ড্যান আইভস একে এনভিডিয়ার জন্য “ঐতিহাসিক মুহূর্ত” বলে উল্লেখ করে বলেন, “এখনকার দিনে তাদের চিপই যেন নতুন সোনা আর তেল। এআই বিপ্লবের মূল ভিত্তি একটাই কোম্পানি—এনভিডিয়া।” এপ্রিল মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি নিয়ে বিশ্ববাজারে উদ্বেগ দেখা দিলে এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্য পড়ে যায়। তবে বসন্তের পর থেকে তা আবার জোরালোভাবে বাড়তে থাকে।
আট বছর আগে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম এখনকার মাত্র ১ শতাংশেরও কম ছিল।
তখন এনভিডিয়ার শেয়ার বেড়েছিল প্রতিদ্বন্দ্বী এএমডি-র সঙ্গে গ্রাফিক্স কার্ড তৈরির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার কারণে। আর এখন কোম্পানিটি দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটজিপিটির মতো মডেল চালাতে ব্যবহৃত চিপের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়। এই প্রবৃদ্ধির ফলে এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং এখন প্রযুক্তি দুনিয়ার বড় তারকায় পরিণত হয়েছেন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ তাকে বলেছেন, “টেক দুনিয়ার টেলর সুইফট।” বিশেষ করে তাইওয়ানে তার এতই জনপ্রিয়তা যে, ভক্তরা তাকে রকস্টারের মতো দেখেন। এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্যের এই ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে দেয়, ট্রাম্পের অর্থনীতি ঘিরে নানা অনিশ্চয়তা থাকলেও ওয়াল স্ট্রিট এখনো এআই প্রযুক্তিতে আস্থা রাখছে। এনভিডিয়া চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৪৪.১ বিলিয়ন ডলার আয়ের কথা জানিয়েছিল, যা গত বছরের তুলনায় ৬৯ শতাংশ বেশি। কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারে ৮১ সেন্ট করে লাভ করেছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন