ফ্রান্সে ছোট আকারের গম উৎপাদন ৪১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে কমোডিটি প্রাইসিং এজেন্সি আর্গাস। সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে গম রোপণ থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত অতিবৃষ্টির কারণে দেশটিতে ফলন ব্যাপকভাবে কমে যেতে পারে।
আর্গাসের হিসাবমতে, ফ্রান্সে চলতি বছর প্রতি হেক্টরে ৫ দশমিক ৯৩৩ টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা পাঁচ বছরের গড় উৎপাদনের তুলনায় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ কম। দেশটিতে এ বছর ৪২ লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এ হিসাবে গম উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ২ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টনে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় এক কোটি টন কম এবং পাঁচ বছরের গড় উৎপাদনের তুলনায় ২৭ দশমিক ২ শতাংশ কম।
আর্গাস চলতি মাসের প্রথম পাঁচদিন ফ্রান্সের কৃষক, বিক্রয় কেন্দ্র ও কৃষি সমিতিগুলোয় জরিপ করে। এর ভিত্তিতে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
জরিপে সাড়াদানকারীদের সামগ্রিক মত, চলতি বছর ফ্রান্সে গমের ফলন আগের বছরগুলোর গড় উৎপাদনের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ কমে গেছে। শুধু ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা ফলন কমার হার এর থেকে কিছুটা কম বলেছেন।
দেশটিতে আর্দ্র আবহাওয়ায় চলতি বছর গম রোপণ বাধাগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে রোগবালাই, নিম্নমুখী তাপমাত্রা ও সূর্যালোকের অভাবে উৎপাদন আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
বিরূপ আবহাওয়ায় ফ্রান্সে গমের গুণগত মানেও প্রভাব পড়েছে। চলতি বছর এক অঞ্চলের গমের স্বাদ আরেক অঞ্চলের থেকে ভিন্ন হচ্ছে।
এদিকে শস্য প্রক্রিয়াজাতকারীরা জানান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে মানসম্পন্ন গমের পর্যাপ্ত যোগান আছে, যদিও এ বছরে ফিড গ্রেডের গমের পরিমাণই বেশি। তবে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কায় ফ্রান্সের কৃষক ও রফতানিকারকরা ২০২৪-২৫ বিপণন বছরের শুরুতে গম বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন।
আর্গাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফ্রান্সে চলতি বছর গমের ফলন ২০১৬ সালের চেয়ে কম হতে পারে। ২০০০ সালের পর ওই বছর দেশটিতে সবচেয়ে কম গম উৎপাদন হয়। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন নেমে যায় ৫ দশমিক ৩৭৪ টনে। সে সময় মৌসুমের শুরুতে অনূকুল আবহাওয়া থাকলেও পরে তা প্রতিকূল হয়ে উঠেছিল।
Source : আর্গাস মিডিয়া।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন