চীন জানিয়েছে যে, তারা কিছু অঞ্চল ব্যতীত জাপান থেকে সামুদ্রিক খাবার আমদানির অনুমতির প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করেছে। প্রায় দুই বছর আগে জাপান একটি ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিশোধিত এবং পাতলা করা পানি সাগরে নিষ্কাশন শুরু করার পর চীন এই আমদানি স্থগিত করেছিল। রবিবার চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন যে তারা ঐ দিন থেকে আমদানি পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, টোকিও এবং বেইজিং গত মে মাসে এই পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছিল। কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে ফুকুশিমা, মিইয়াগি এবং টোকিওসহ ১০টি জেলা থেকে আমদানি নিষিদ্ধ থাকবে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে জাপানি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রক্রিয়াকরণসহ অন্যান্য পরিষেবাসমূহ চীনা কর্তৃপক্ষের নিকট নিবন্ধন করার পর, আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। কর্মকর্তারা আরও বলেন যে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যবিধান, তেজস্ক্রিয় পদার্থ এবং উৎপাদন স্থান সম্পর্কিত জাপানি কর্তৃপক্ষের সনদও জমা দিতে হবে। তারা বলেন যে, জাপানি সামুদ্রিক পণ্য আমদানি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করবেন কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, এপ্রসঙ্গে চীনের সংশ্লিষ্ট আইন অথবা খাদ্য নিরাপত্তার মান পূরণ না হওয়ার মতো যদি কোনও ঘটনা শনাক্ত করা যায়, তাহলে কর্মকর্তারা চীনা জনগণের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কর্মকর্তারা আরও বলেছেন যে, যদি জাপান সরকার তাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে সেক্ষেত্রেও একই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জাপান ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিশোধিত এবং পাতলা করা পানি সাগরে নিষ্কাশন শুরু করার পর ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে চীন এই খাদ্য আমদানি স্থগিত করেছিল। (Source: NHK WORLD JAPAN)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন