নিউজিল্যান্ডের নতুন গোল্ডেন ভিসা কর্মসূচিতে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে ধনী বিদেশীরা, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে উচ্চ সম্পদধারী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করাই এ কর্মসূচির লক্ষ্য বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। খবর রয়টার্স।
গত এপ্রিলে নিউজিল্যান্ড সরকার ‘অ্যাকটিভ ইনভেস্টর প্লাস’ ভিসা নীতিমালা শিথিল করে। এর আওতায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগে ন্যূনতম অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৫০ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার থেকে কমিয়ে ৫০ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার বা প্রায় ৩০ লাখ ডলারের সমতুল্য করা হয়। একই সঙ্গে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার শর্তও বাতিল হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ প্রসঙ্গে দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড বলেন, ‘নতুন এ গোল্ডেন ভিসার জন্য ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। নতুন আবেদনের সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার বা ৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সমতুল্য, যা নিউজিল্যান্ডের ব্যবসা খাতকে চাঙ্গা করবে।’ অভিবাসনমন্ত্রীর বিবৃতি অনুযায়ী, নতুন এ কর্মসূচিতে তিন মাসে ১৮৯টি আবেদন জমা পড়েছে। এর আগে পূর্ববর্তী নিয়মে দুই বছরের বেশি সময়ে জমা পড়েছিল ১১৬টি আবেদন। আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ এসেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ৮৫ জন। এরপর চীন ও হংকং থেকে এসেছে যথাক্রমে ২৬ ও ২৪টি আবেদন। এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। যা নীতিনির্ধারকদের জন্য স্বস্তিদায়ক খবর। দেশকে পুনরায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে ফেরাতে কাজ করছে সরকার। গত বছর কৌশলগত মন্দায় পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। মহামারীর সময়কার হিসাব বাদ দিলে টানা দুই প্রান্তিকব্যাপী জিডিপি হ্রাস ছিল ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন