বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপলের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন শেয়ারহোল্ডাররা। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অ্যাপল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরিতে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংযুক্ত করার অগ্রগতি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। খবর টেকইনএশিয়া। গত বছর জুনে অনুষ্ঠিত অ্যাপলের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্সে কোম্পানি আইফোন ১৬-তে নতুন এআই ফিচারের কথা ঘোষণা করে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের দাবি, প্রকৃতপক্ষে এসব ফিচার সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখানোর মতো কোনো নমুনা (প্রটোটাইপ) কোম্পানির কাছে ছিল না। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে আইফোনের বিক্রি ও কোম্পানির শেয়ারদরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মামলায় অ্যাপলের সিইও টিম কুক, বর্তমান সিএফও কেভান পারেখ ও সাবেক সিএফও লুকা মায়েস্ত্রিকে আসামি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ ক্লাস অ্যাকশন মামলা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০১৯ সালে এ খাতে ৮৫টি মামলা হয়, যা ওই বছরের মোট মামলার প্রায় ২০ শতাংশ। এসব মামলার আর্থিক পরিমাণ অনেক বড়, অনেক ক্ষেত্রে কোটি ডলারে নিষ্পত্তি হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে এআই নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রতিশ্রুতি দেয়ার সময় সতর্ক হতে হবে। কারণ যদি তারা জনসমক্ষে দেয়া অঙ্গীকার ও প্রকৃত কাজের মধ্যে ফারাক রাখে, বিনিয়োগকারীরা হতাশ হতে পারে এবং আইনি ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া শেয়ারহোল্ডারদের এ মামলা শুধু আর্থিক ক্ষতির বিষয় নয়, বরং কোম্পানিগুলোর তথ্য প্রকাশের স্বচ্ছতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের আইনি চাপ কোম্পানিগুলোকে পণ্যের উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে সৎ ও দ্রুত তথ্য প্রকাশ করতে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়ে। অ্যাপলের জন্য মামলাটি ব্যয়বহুল হতে পারে, তবে এ ঘটনা অন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্যও একটি বার্তা বহন করে। বিশেষ করে যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বড় বড় দাবি করছে বা প্রচার চালাচ্ছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন