পি. আই. এ-র কর্মীরা জাতীয় পতাকাবাহী বিমান কেনার জন্য দরপত্র প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন

ইসলামাবাদঃ পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) কর্মচারীরা আগ্রহ প্রকাশের জন্য ১৯ জুনের সময়সীমা শেষ হওয়ার ঠিক কয়েকদিন আগে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে জাতীয় পতাকা বাহক অর্জনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে একটি যৌথ প্রস্তাব জমা দিয়েছেন, বেসরকারীকরণ কমিশনের কর্মকর্তারা সোমবার নিশ্চিত করেছেন। সিবিএ-অনুমোদিত পিপলস ইউনিটির সভাপতি হিদায়াতুল্লাহ খান এবং পিআইএ সিনিয়র স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের (সাসা) প্রধান আকিল সিদ্দিকী যৌথভাবে দরপত্রটি দাখিল করেন। কর্মচারী গোষ্ঠীগুলি বিমান সংস্থা কেনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়ার অধিকার দাবি করে, বিশেষত যখন পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে ফেডারেল সরকার বেসরকারিকরণের দিকে এগিয়ে চলেছে। দাবিদারদের তালিকায় যোগ করে, পাকিস্তানের সার শিল্পের একটি প্রধান খেলোয়াড় ফৌজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (এফএফসি) সোমবার ঘোষণা করেছে যে তারা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস কর্পোরেশন লিমিটেডের (পিআইএসিএল) অংশীদারিত্বের জন্য বেসরকারীকরণ কমিশনে একটি এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট (ইওআই) এবং প্রাক-যোগ্যতার নথি জমা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলি পিআইএ অধিগ্রহণের জন্য এফএফসি-র প্রস্তাবকে নিশ্চিত করেছে। ১৩ ই জুন একটি বোর্ড সভায়, এফএফসি এই পদক্ষেপটি অনুমোদন করেছে এবং পাকিস্তান সরকার তার ৫১%-১০০% শেয়ার বিক্রি করে তার ৭ বিলিয়ন ডলার আইএমএফ-সমর্থিত সংস্কার কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। গত মাসে, সরকার ইওআই-এর সময়সীমা ১৯শে জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে, যখন ব্লু ওয়ার্ল্ড সিটি কনসোর্টিয়াম থেকে শুধুমাত্র একটি বিড-৮৫ বিলিয়ন টাকার চেয়ে কম-পেয়েছিল। এর আগে, মিয়া মানশা গ্রুপ, আরিফ হাবিব গ্রুপ এবং তাব্বা গ্রুপ সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলিও ঋণগ্রস্ত বিমান সংস্থাটি অধিগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। পিআইএ-র বেসরকারিকরণ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে লোকসান সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার এবং জনসাধারণের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একটি বিস্তৃত সরকারী কৌশলের অংশ। (সূত্রঃ জিও নিউজ)