ভিয়েতনামে তৈরি রফতানিযোগ্য পণ্যে চীনা প্রযুক্তির ব্যবহার কমাতে দেশটির ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুল্কসংক্রান্ত চলমান আলোচনায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উত্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন নতুনভাবে গড়ে তুলতেই যুক্তরাষ্ট্র এ উদ্যোগ নিচ্ছে। খবর রয়টার্স।
অ্যাপল, স্যামসাং, গুগল ও মেটার মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানির জন্য পণ্য তৈরির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ভিয়েতনাম। তবে এসব পণ্যের অনেক যন্ত্রাংশই চীনে তৈরি। বিশেষ করে স্মার্টফোন ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেটের মতো পণ্যে চীনা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা এখনো বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ভিয়েতনাম সরকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করছে, যাতে দেশীয় যন্ত্রাংশের ব্যবহার বাড়ানো যায়। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এ পরিবর্তন আনতে তাদের সময় ও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীনা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমলে শুধু তাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না, ভিয়েতনামের শিল্প খাতও আরো শক্তিশালী হবে। তবে এখনো কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা চীনা উপকরণের পরিমাণ সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। আগামী ৮ জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কার্যকর হতে পারে, যার হার সর্বোচ্চ ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এ শুল্ক বাস্তবায়ন হলে ভিয়েতনামের রফতানিনির্ভর অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এ বিষয়ে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন