আয়তনে ১৩১ সেন্টিমিটার (প্রায় ৪ ফুট ৪ ইঞ্চি) এই বিশালাকার পুতুলটিকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ‘টয় ফিগার’-এর স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
জনপ্রিয়তা আর সেলিব্রিটি প্রভাবে এবার লাবুবু যেন খেলনার বাজারে ঝড় তুলেছে। বিশেষ করে ব্ল্যাকপিংক তারকা লিসা, রিহান্না, দুয়া লিপা এবং ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবল অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যামের মতো তারকারা লাবুবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রদর্শনের পর থেকেই এগুলোর চাহিদা আকাশছোঁয়া।
চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ইয়ংলে ইন্টারন্যাশনাল অকশন হাউসের এক নিলামে এক মানবাকৃতি লাবুবু পুতুল বিক্রি হয়েছে ১০ দশমিক ৮ লাখ ইউয়ানে, যা ডলারে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৩২৪ এবং পাউন্ডে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ৪৬৫। আয়তনে ১৩১ সেন্টিমিটার (প্রায় ৪ ফুট ৪ ইঞ্চি) এই বিশালাকার পুতুলটিকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ‘টয় ফিগার’-এর স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসি।
লাবুবু হলো এক ধরনের অদ্ভুতুড়ে দানবীয় চরিত্র। হংকংয়ের শিল্পী কাসিং লাং এক দশক আগে চরিত্রটি সৃষ্টি করেন। চীনা খেলনা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পপ মার্ট এই পুতুলগুলো তৈরি করে থাকে এবং সাধারণত প্রতিটি পুতুলের দাম পড়ে মাত্র ৫০ ইউয়ান।
তবে জনপ্রিয়তা আর সেলিব্রিটি প্রভাবে এবার লাবুবু যেন খেলনার বাজারে ঝড় তুলেছে। বিশেষ করে ব্ল্যাকপিংক তারকা লিসা, রিহান্না, দুয়া লিপা এবং ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবল অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যামের মতো তারকারা লাবুবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রদর্শনের পর থেকেই এগুলোর চাহিদা আকাশছোঁয়া। এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত নিলামটি ছিল পুরোপুরি লাবুবুকে ঘিরেই। সেখানে ৪৮টি আইটেম বিক্রির জন্য তোলা হয়েছিল এবং উপস্থিত ছিলেন প্রায় ২০০ জন। পুরো নিলাম থেকে সংগৃহীত মোট অর্থের পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৭ লাখ ইউয়ান।
বিশ্বজুড়ে টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়ে যাওয়া এই খেলনাগুলোর জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, যুক্তরাজ্যের দোকানে দোকানে এসব পুতুল কেনা নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠলে পপ মার্ট সব স্টোর থেকে সাময়িকভাবে পুতুল তুলে নেয়। উল্লেখ্য, পপ মার্ট সাধারণত ‘ব্লাইন্ড বক্স’-এ এসব খেলনা বিক্রি করে, যেখানে বক্স খোলার আগ পর্যন্ত কেউই জানে না ভেতরে ঠিক কোন ডিজাইনের ফিগার রয়েছে। লাবুবুর এই অভাবনীয় জনপ্রিয়তাই পপ মার্টকে দিয়েছে নতুন গতি। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালে ১৩ কোটি ইউয়ান আয় করেছে, যা আগের বছরের দ্বিগুণেরও বেশি। এরইমধ্যে তারা ইতালি ও স্পেনসহ পাঁচটি দেশে নতুন স্টোর খুলেছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন