চলতি বছরের মার্চ-মে পর্যন্ত তিন মাসে ফক্সকনের ভারত থেকে রফতানি করা আইফোনের প্রায় পুরোটাই গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ হার ২০২৪ সালের গড় ৫০ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। পদক্ষেপটি চীনের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক এড়াতে অ্যাপলের প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্স। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এবার অ্যাপল ভারতে উৎপাদিত আইফোন রফতানির পুরো পরিকল্পনা সাজিয়েছে একচেটিয়াভাবে মার্কিন বাজারকে কেন্দ্র করে। এর আগে ভারতে উৎপাদিত অ্যাপলের ডিভাইসগুলো নেদারল্যান্ডস, চেক প্রজাতন্ত্র, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হতো। গত মার্চ-মে পর্যন্ত ফক্সকন ভারত থেকে ৩২০ কোটি ডলার মূল্যের আইফোন রফতানি করেছে। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২৪ সালের একই সময় এ হার ছিল ৫০ দশমিক ৩ শতাংশ।
চলতি বছরের মে মাসে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির জন্য আইফোনের চালান ছিল প্রায় ১০০ কোটি ডলারের। এর আগে মার্চে রেকর্ড ১৩০ কোটি ডলারের পর এটা ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভারত থেকে মোট ৪৪০ কোটি ডলার মূল্যের আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে ফক্সকন, যেখানে ২০২৪ সালে পুরো বছরে এ অংক ছিল ৩৭০ কোটি ডলার। গত মার্চে ফক্সকন আইফোন ১৩, ১৪, ১৬ এবং ১৬-ই মডেলের বেশকিছু ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার জন্য চার্টার্ড উড়োজাহাজ ব্যবহার করেছে। এমনকি সম্প্রতি ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় কমিয়ে আনার জন্যও তদবির করেছে তারা। অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে অ্যাপলের পক্ষে কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স, মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ফক্সকনও। চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো ডিভাইসগুলোর দাম অনেক বেশি হওয়ায় শুল্ক এড়াতে অ্যাপল ভারতে তাদের উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানাচ্ছে রয়টার্স। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানিতে চীনকে ৫৫ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে। এ বিষয়ে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সিনিয়র বিশ্লেষক প্রাচির সিং বলেন, ‘আশা করছি ২০২৪ সালের ১৮ শতাংশের তুলনায় চলতি বছর বিশ্বব্যাপী মোট বিক্রীত আইফোনের ২৫-৩০ শতাংশ হবে ভারতে তৈরি।’
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন