ইরান ইকো রাষ্ট্রগুলিকে মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে নিয়মকানুন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।

ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ অর্গানাইজেশন অফ ইকোনমিক কো-অপারেশন (ঊঈঙ) এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের জন্য কাঠামো এবং প্রবিধানগুলি সংজ্ঞায়িত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
শুক্রবার দুশানবেতে ইসিও সচিবকে আসাদ মজিদ খান বলেন, ‘মুক্ত বাণিজ্যের নিয়মকানুন প্রণয়ন একটি প্রয়োজনীয়তা এবং সংস্থার সদস্যদের অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে এবং মুক্ত বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে একে অপরের সাথে বাণিজ্য করতে হবে।
আরেফ উল্লেখ করেন যে, ই. সি. ও-এর কিছু সদস্য দেশ সমুদ্র থেকে বের না হওয়া দেশ, এবং জোর দিয়ে বলেন যে, ইরান তাদের খোলা সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দিতে প্রস্তুত।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইরান অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা ইসিওর সদস্য দেশগুলিকে উদারভাবে দিতে পারে, তিনি যোগ করেন।
আরেফ্ট সাইবার প্রযুক্তি এবং সাইবারস্পেসের গুরুত্বের পাশাপাশি ইকো সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সাইবার হুমকির উপর জোর দিয়েছিলেন, যা এই ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা স্থানান্তর করতে এবং সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করতে ইরানের ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয়।
উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, ৩ ও ৪ জুলাই আজারবাইজানের জানকান্ডিতে পরবর্তী ১৭ তম ইকো শীর্ষ সম্মেলনে ইরান উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।
আরেফ বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলির সংহতি ও সংহতির পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান বিরোধের সমাধানের লক্ষ্যে একটি বিস্তৃত এজেন্ডা অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।
“আমরা বিশ্বাস করি যে সদস্য দেশগুলির অবশ্যই ইসিওর উদ্দেশ্যগুলির জন্য প্রতিযোগিতামূলক নয়, একটি গুরুতর এবং বন্ধুত্বপূর্ণ উপস্থিতি থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের বিশেষজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের জন্য ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান তালিকাভুক্ত।
তাঁর পক্ষ থেকে, খান ইসিওর সদস্যদের মধ্যে ভাল প্রতিবেশী নীতির উপর ইরানের জোর এবং সদস্য দেশগুলিকে সরকার ও আঞ্চলিক দেশগুলির কল্যাণের জন্য প্রচেষ্টা করতে অনুপ্রাণিত করার গুরুত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ইসিওর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইরান তার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংহতি ও সংহতি জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইসিও, যার সদস্যরা আফগানিস্তান, আজারবাইজান, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তুরস্ক এবং উজবেকিস্তান, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রচার করে।
ইকো অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে জ্বালানি, বাণিজ্য ও পরিবহণ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা, সুযোগ এবং মঞ্চ রয়েছে।
ইরান, সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, তার ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থানের কারণে এই গোষ্ঠীর একটি প্রধান সদস্য।
তার চিত্তাকর্ষক জ্বালানি সম্পদ এবং বৈশ্বিক বাজারে স্থানান্তরের জন্য তার ভৌগলিক অবস্থানের কারণে, ইরান বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক সংহতির জন্য সমর্থনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এছাড়াও, মধ্য এশিয়া এবং ইউরেশীয় অঞ্চল থেকে বিশ্ব বাজারে শক্তি স্থানান্তর করার জন্য এটি সর্বোত্তম অবস্থানে রয়েছে।
সূত্রঃ প্রেস টিভি