দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি কমতে পারে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। – The Finance BD
 ঢাকা     রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি কমতে পারে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

  • ২৮/০৫/২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি অব্যাহত থাকলে চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি কমতে পারে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি অব্যাহত থাকলে চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি কমতে পারে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। গত সোমবার প্রকাশিত এক জরিপে এ আশঙ্কা উঠে এসেছে। দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ ফেডারেশনের (এফকেআই) উদ্যোগ জরিপটি পরিচালনা করে স্থানীয় মোনো রিসার্চ। এতে আয়ের ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ ১৫০টি রফতানিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জরিপে বলা হয়েছে, মার্কিন শুল্ক বর্তমান হারে কার্যকর থাকলে কোম্পানিগুলোর রফতানি পরিমাণ ২০২৪ সালের তুলনায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কমে যাবে। খাত হিসেবে ইলেকট্রনিকস কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বড় পতনের আশঙ্কা করছে যা ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর অটোমোবাইল ও পার্টস ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম পণ্য ৭ দশমিক ২, সাধারণ যন্ত্রপাতি ৬ দশমিক ৪, সেমিকন্ডাক্টর ৩ দশমিক ৬ এবং ইস্পাত শিল্প ২ দশমিক ৮ শতাংশ রফতানি কমার আশঙ্কা করছে। অন্যদিকে শুল্কের প্রভাব সত্ত্বেও জাহাজ নির্মাতা ও বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো যথাক্রমে ১০ ও ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করছে।
জরিপে আরো দেখা গেছে, মার্কিন শুল্কনীতি অপরিবর্তিত থাকলে কোম্পানিগুলোর মোট আয় ও পরিচালন মুনাফা যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬ ও ৬ দশমিক ৩ শতাংশ কমে যেতে পারে। প্রায় ৮১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি মার্কিন ও কোরিয়ান উভয় ব্যবসার জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, শুল্ক কোরিয়ান কোম্পানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও মার্কিন কোম্পানিগুলো উপকৃত হবে।
বড় ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ কোম্পানি ট্রাম্প প্রশাসনের ঘন ঘন শুল্কনীতি পরিবর্তনজনিত অনিশ্চয়তা বৃদ্ধিকে উল্লেখ করেছে। এরপর ২৪ শতাংশ বলেছে শুল্ক উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া মার্কিন রফতানি হ্রাস, মুদ্রার ওঠানামাজনিত ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং চীনের ডাম্পিংয়ের কারণে সম্ভাব্য ক্ষতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অনেকে।
এ বিষয়ে এফকেআইয়ের অর্থনৈতিক ও শিল্প গবেষণা বিভাগের প্রধান লি স্যাং-হো বলেন, ‘মার্কিন-চীন চুক্তি সত্ত্বেও শুল্কনীতির ওপর অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। সরকারকে শুল্কসংক্রান্ত ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, শুল্ক-বহির্ভূত প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে কাজ করতে হবে এবং কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর লোকসান কমানোর জন্য কৌশল নিতে হবে।’
খবর কোরিয়া হেরাল্ড।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us