শ্যানেলের মুনাফা কমেছে এক-তৃতীয়াংশ – The Finance BD
 ঢাকা     সোমবার, ০৭ Jul ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন

শ্যানেলের মুনাফা কমেছে এক-তৃতীয়াংশ

  • ২৭/০৫/২০২৫

গত বছর ফরাসি বিলাসবহুল ফ্যাশন ব্র্যান্ড শ্যানেলের মুনাফা কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া চলমান শুল্ক অনিশ্চয়তা চলতি বছরে কোম্পানির মুনাফায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২৪ সালে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা হয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কম। একই সময়ে বিক্রি কমেছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, এতে মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার।
এশিয়ায় বাজারে গত বছর বড় ধরনের পতন দেখছে শ্যানেল। এ অঞ্চলে আয় ৭ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৯২০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। ২০২০ সালে কভিড মহামারীর কারণে বেশ কিছু আউটলেট বন্ধ করে দিতে হয়েছিল কোম্পানিটিকে। এরপর এবারই প্রথম শ্যানেলের বিক্রি ও পরিচালন মুনাফা দুটোই একসঙ্গে কমেছে। শ্যানেলের গ্লোবাল চিফ এক্সিকিউটিভ লীনা নায়ার বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু বাজারে এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে।’
২০২৫ সালে শ্যানেলের বাণিজ্যিক পূর্বাভাস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি ভীষণভাবে অনিশ্চিত।’ ২০১৯ সালের পর থেকে শ্যানেলের ক্লাসিক ফ্ল্যাপ ব্যাগের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ১০ হাজার ইউরো ছাড়িয়ে যায়। যদিও বিলাসবহুল পণ্যের গড় দাম একই সময়ে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। কিন্তু শ্যানেলের আগ্রাসী মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই পণ্যের সৃজনশীলতা ও গুণমানের সঙ্গে দামের অসামঞ্জস্যতা খুঁজে পেয়েছেন।
অবশ্য কোম্পানির গ্লোবাল চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ফিলিপ ব্লঁদিও এ ধারণা নাকচ করে বলেন, ‘আমি মনে করি, গ্রাহকরা পুরোপুরি বোঝেন যে চ্যানেল পণ্যের দাম তাদের কাঁচামালের মান অনুযায়ী যথার্থ।’ ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ফ্যাশন পণ্যে গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে এবং এ বছরও একই হারে দাম বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। আর্থিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শ্যানেল গত বছর রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। ওই সময় মূলধন ব্যয় ৪৩ শতাংশ বেড়ে ১৭৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। চলতি বছর আরো ১৮০ কোটি ডলার মূলধন ব্যয় এবং সরবরাহ ব্যবস্থা আরো সংহত করতে রেকর্ড ৬০ কোটি ডলার ব্যয় করবে চ্যানেল।
অবশ্য সাম্প্রতিক বছরে পুরো বিলাস পণ্যের খাতই মন্দায় ভুগছে। এলভিএমএইচের বিক্রি গত বছর ২ শতাংশ কমেছে। গুচি ব্র্যান্ডের চাহিদা কমায় কেরিংয়ের বিক্রি কমেছে ১৪ শতাংশ। তবে হারমেস ও ব্রুনেলো কুচিনেল্লির মতো কিছু ব্র্যান্ডের বিক্রি ডাবল ডিজিটে বেড়েছে।
খবর এফটি।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us