যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন (১৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে। হোয়াইট হাউজ এটিকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন (১৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে। হোয়াইট হাউজ এটিকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছে। গতকাল রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে এসব চুক্তি হয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার এ চুক্তি ছাড়াও দেশটিতে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগের চুক্তি করেছে সৌদি আরব। সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে এসব চুক্তি সইয়ের পর সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশ সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।’ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী মাসগুলোতে তা বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন (১ হাজার বিলিয়ন) ডলারে উন্নীত হবে।’
মধ্যপ্রাচ্যে তিনদিনের সফরের প্রথম দিনে গতকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তাকে স্বাগত জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর দুজন প্রাথমিক বৈঠক করেন। পরে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে দুই দেশের মধ্যে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি চুক্তির আওতায় মোট পাঁচটি খাত রয়েছে। সেগুলো হলো বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও মহাকাশ সক্ষমতা, আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, সমুদ্র ও উপকূলীয় নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থলবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিকায়ন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘অসাধারণ একজন মানুষ’ অভিহিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব একটি “চমৎকার জায়গা”। এখানে “চমৎকার মানুষ” বসবাস করেন।’
উপসাগরীয় অঞ্চলের ধনী আরব দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য বড় অংকের বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়েই ট্রাম্প এ সফর করছেন। আজ ট্রাম্পের কাতার সফরে যাওয়ার কথা। আগামীকাল তিনি যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউট’-এর জ্যেষ্ঠ গবেষক অর্থনীতিবিদ ক্যারেন ইয়ং বলেন, ‘ট্রাম্প এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরো বেশি বিনিয়োগের ঘোষণা প্রত্যাশা করেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক ইস্যুতে কূটনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা করবেন, যার মধ্যে রয়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং সৌদি আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ সংক্রান্ত আলোচনা।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন