গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরণ উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার সাতদিন পর উপত্যকার জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত সপ্তাহে পর্যটকদের ওপর হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে সাধারণ জনগণের জন্য সেখানকার অর্ধেকের বেশি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এক সরকারি আদেশে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও এবিপি আনন্দ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরণ উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার সাতদিন পর উপত্যকার জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার।
জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন দফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, উপত্যকাজুড়ে ৪৮টি পর্যটন স্থল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে । হামলার পরপরই নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখে দুধপাথরি ও ইয়াসমার্গ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ৷ এরপর এ সিদ্ধান্ত ৷ গুরেজ ও বানগাসের পর্যটনস্থলের পাশাপাশি শ্রীনগরের বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্থলও বন্ধ হয়েছে ৷ এছাড়া জনপ্রিয় কয়েকটি পার্ক থেকে শুরু করে ট্রেকিংয়ের জায়গাগুলিতে পর্যটকরা আপাতত ঢুকতে পারবেন না ৷ এদিকে, সন্ত্রাসী হামলার পর কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। ৷ কয়েকজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ৷ হামলার পরপরই অভিযুক্তদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল উপত্যকার পুলিশ। এরইমধ্যে এ ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ। সরকারি সূত্রের তথ্যমতে, সেখারকার ৮৭টি পর্যটন স্থলের মধ্যে বন্ধের তালিকার থাকা কয়েকটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। ৷এছাড়া কাশ্মীরের বিখ্যাত কয়েকটি বাগানের দরজাও বন্ধ রয়েছে। ৷ আগামী দিনে এই তালিকায় আরও কয়েকটি নাম যোগ হতে পারে । গত দশ বছরে যে নতুন জায়গাগুলিতে পর্যটন শুরু হয়েছিল সেগুলিও সাময়িকভাবে বন্ধ হল। এদিকে এই সময়টাই জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনের মরশুম। ৷ ভূ-স্বর্গ হিসেবে খ্যাত কাশ্মীরের অর্থনীতি পর্যটন নির্ভর। স্বভাবত এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির পর্যটন বড় ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন