চীনা অর্থনীতির বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি গ্লোবাল সাউথের জন্য আরো বেশি কল্যাণ ডেকে আনবে: চীনে পাক রাষ্ট্রদূত – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

চীনা অর্থনীতির বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি গ্লোবাল সাউথের জন্য আরো বেশি কল্যাণ ডেকে আনবে: চীনে পাক রাষ্ট্রদূত

  • ২৮/০৪/২০২৫

চীনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত খলিল হাশিমি সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, চীনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অনেক সুযোগের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ বা বৈশ্বিক দক্ষিণ দেশগুলোর জন্য আরো বেশি কল্যাণ ডেকে আনছে।

তিনি বলেন, চলতি বছর চীনের ‘দুই অধিবেশনে’ তাঁর দৃষ্টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর ছিল। ‘নতুন মানের উত্পাদন শক্তি’ সম্পর্কে তিনি মনে করেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বেগবান করার গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। বৈদ্যুতিক যানবাহন, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শক্তি সঞ্চয় প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং বর্তমানে জনপ্রিয় ডিপসিক, এসব ‘নতুন মানের উত্পাদন শক্তি’র ব্যবহারিক ক্ষেত্র ভবিষ্যতে নীতিগত আলোচনা ও প্রণয়নের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিণত হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব ক্ষেত্রে চীনের অর্জন ও অগ্রগতি, শুধু নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে, তা নয়, বরং বিশ্বের বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের জন্য নতুন চালিকা শক্তি যোগাবে।

চীনের অর্থনীতি সম্পর্কে হাশিমি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো নির্মাণ, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সাফল্য উল্লেখযোগ্য। তিনি উল্লেখ করেন, চীনের লাখ লাখ মানুষ সাফল্যের সঙ্গে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে, এটি মাবনজাতির ইতিহাসে দুর্দান্ত কীর্তি। তিনি মনে করেন, চীনা অর্থনীতির ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরো বেশি সুযোগ ডেকে আনছে। চীনের উত্থাপিত মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ধারণা, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ এবং ‘বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ’ ইত্যাদি দেশটির বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়ন সুযোগ ভাগাভাগি করার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ।

হাশিমি মনে করেন, চীনের উচ্চমানের উন্মুক্তকরণ হলো সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতির বিস্তার ও একে গভীর করা। প্রচুর বৈদেশিক পুঁজি আকর্ষণ করার পাশাপাশি আরো বেশি উভয়ের উপকার ও কল্যাণ সাধন করা বাণিজ্যিক সুযোগ সৃষ্টি করে। তিনি মনে করেন, চীনা অর্থনীতির স্থিতিশীল বৃদ্ধি এবং উচ্চমানের উন্মুক্তকরণ এগিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ও চীন হাতে হাত রেখে আরো সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করবে। চীনা অর্থনীতির বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি বৈশ্বিক দক্ষিণের জন্য আরো বেশি কল্যাণ নিয়ে আসবে।

দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে হাশিমি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান ও চীন সর্বাক্ষণিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার। দু’দেশের নেতা ও জনগণের অভিন্ন চেষ্টায় দু’দেশ সম্পর্কের উন্নয়ন প্রবণতা শক্তিশালী। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিমান চলাচল ও মহাকাশযান, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা স্পষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিশেষ করে, বিআরআই’র প্রতিকীমূলক প্রকল্প হিসেবে চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর পরিবহন ও জ্বালানি অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছর দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী। দু’পক্ষ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতা গভীরতর করার পাশাপাশি উদযাপন কার্যক্রম আয়োজন করবে। তিনি ভবিষ্যতে দু’দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবার প্রত্যাশা করেন। (Source: CGTN)

 

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us