নতুন মার্কিন সরকার, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বিস্তৃত ও অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক শুল্কনীতি গ্রহণ করেছে, যা আন্তর্জাতিক সমাজে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক জনমত অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধ উস্কে দিয়েছে এবং শুল্ককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মার্কিন গুন্ডামি ও জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ড কেবল বৈশ্বিক প্রবণতার বিরুদ্ধে যায়নি, বরং খোদ যুক্তরাষ্ট্রেরও ক্ষতি করছে। ব্লুমবার্গের নিবন্ধে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধের উস্কানিদাতা’। নিবন্ধে বলা হয়, যদি তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ কার্যকর হয়, তাহলে এটি হবে ১৯৬৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কর বৃদ্ধি। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে হোয়াইট হাউসের কোনো ব্যাকআপ পরিকল্পনাও নেই। শ্রীলঙ্কার গার্ডিয়ান ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রায় এক শতাব্দী আগে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করার পর, যুক্তরাষ্ট্র এখন আবার ‘শুল্কের লাঠি” ব্যবহার করছে এবং বিশ্বকে ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের খাড়া প্রান্তরে’ ঠেলে দিচ্ছে। ‘দা কনফ্লিক্ট অফ ট্রেড: টু হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ ইউএস ট্রেড পলিসি’ বইয়ের লেখক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক ডগলাস আরভিং বলেন, বর্তমান ‘শুল্কযুদ্ধের’ তীব্রতা ইতিহাসের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মার্কিন শুল্কযুদ্ধ ১৯৩০ সালের পর প্রথম বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। (সূত্রঃ সিজিটিএন)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন