মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন যে জাপান বোলিং বল পরীক্ষা ব্যবহার করে বিদেশি যানবাহনের সক্ষমতা পরীক্ষা করে থাকে। ট্রাম্প বিষয়টিকে একটি শুল্ক-বহির্ভূত বাধার উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একটি ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা এই দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছিল। রবিবার সামাজিক মাধ্যমের একটি পোস্টে ট্রাম্প আট ধরণের “শুল্ক-বহির্ভূত প্রতারণা” তালিকাভুক্ত করেছেন। এগুলো হলো: মুদ্রা কারসাজি; ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর যা শুল্ক এবং রপ্তানি ভর্তুকি হিসাবে কাজ করে; বিদেশি বাজারে পণ্য বিক্রির সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তুলনায় অনেক কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করা বা ডাম্পিং; রপ্তানি ভর্তুকিসহ অন্যান্য সরকারি ভর্তুকি; সংরক্ষণমুখী কৃষিজ মানদন্ড, উদাহরণস্বরূপ ইইউতে নিষিদ্ধ জিনগতভাবে রূপান্তরিত ভুট্টা; সংরক্ষণমুখী কারিগরি মানদন্ডসমূহ; নকল করা, বেআইনিভাবে পণ্য উৎপাদন করাসহ বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের আইপি বা মেধা সম্পদ চুরি করা; এবং সর্বশেষ শুল্ক এড়াতে ট্রান্সশিপিং করা বা মধ্যস্থতাকারী বন্দরের মাধ্যমে একটি মূল দেশ থেকে চূড়ান্ত গন্তব্যে পণ্য স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া। ট্রাম্প জাপানি পরীক্ষাটিকে সংরক্ষণমুখী কারিগরি মানদণ্ডের একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। ২০১৮ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে, অভিযোগ করেছিলেন যে জাপান, বিদেশি যানবাহনের পরীক্ষার ক্ষেত্রে, ২০ ফুট উচ্চতা থেকে একটি বোলিং বল গাড়ির হুডে ছেড়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন যে, এই পরীক্ষায় যদি হুডটি সামান্যতম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে গাড়িটি আর যোগ্য বিবেচিত হয় না। তিনি বলেন, যেভাবে আমেরিকানদের বিবেচনা করা হয় তা “ভয়াবহ”। এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি পরবর্তী দিন বলেন যে ট্রাম্প সম্ভবত “রসিকতা” করছিলেন। উল্লেখ্য, একটি মার্কিন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা এই দাবিকে মিথ্যা বলে জানিয়েছে। (Source: NHK WORLD JAPAN)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন