সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর শুল্কহার বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের একটি নতুন ৭৩৭ ম্যাক্স মডেল গ্রহণ করলে চীনা এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য তা বিরাট অর্থনৈতিক চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিমানটি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত কারা নিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে বোয়িং বা শিয়ামেন এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ৭৩৭ ম্যাক্স বোয়িংয়ের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত মডেল। এর ফেরত আসা বোয়িং শিল্পের পুরনো ‘ডিউটি-ফ্রি’ ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের ওপর প্রায় পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও পূর্ববর্তী বাণিজ্য উত্তেজনার ধকল কাটিয়ে ওঠার মধ্যেই আবার এই ধাক্কা এলো। বিশ্লেষকদের মতে, শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলে বহু বিমানের ডেলিভারি অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। অনেক এয়ারলাইন্স প্রধানই জানিয়েছেন, শুল্ক দিতে হলে তারা আপাতত বিমান গ্রহণ স্থগিত রাখবেন।
মন্তব্য করুন