জাপান সরকার প্রধান খাদ্যশস্যের সরবরাহ ঘাটতি মেটাতে দেশের জরুরি চালের মজুদে হাত দিয়েছে। তবে ক্রেতারা এর প্রভাব অনুভব করছেন না, কারণ সুপারমার্কেটগুলোতে দাম বেড়েই চলেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ৫ কেজি চালের দাম এখন গড়ে ৪,২০০ ইয়েন বা ৩০ ডলারের ওপরে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। মিইয়াগি জেলার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই পরিস্থিতি থেকে সাময়িকভাবে রেহাই পাচ্ছে, কারণ সেখানে ক্যাফেটেরিয়াতে সীমিত সময়ের জন্য ১০০ ইয়েন বা প্রায় ৭০ সেন্টে কারি-রাইস পাওয়া যাচ্ছে। এর দাম সাধারণত ৩৫০ ইয়েন হয়ে থাকে। এই ছাড়ের জন্য অর্থায়ন করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রাক্তন ছাত্র গোষ্ঠী এবং অন্যান্যদের অনুদান থেকে।
গত মাসে সরকার জাতীয় মজুদ থেকে চাল বাজারে ছাড়া শুরু করেছে। এর কিছু অংশ গত সপ্তাহে ফুকুই জেলার একটি সুপারমার্কেটে বিক্রি শুরু হয়েছে। সেখানে প্রতি প্যাকেটের দাম ছিল প্রায় ৩ হাজার ইয়েন বা ২০ ডলার। প্রতি পরিবার এক প্যাকেট করে চাল কিনতে পারছে। একজন বিশেষজ্ঞের ভাষ্যমতে, দাম বেশি থাকার একটি কারণ নিহিত রয়েছে দোকানগুলোর মজুদ থেকে ছাড়া চালের বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়াতে। তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুইয়ুকি কাৎসুহিতো বলেন, “চালের বিতরণের পরিমাণ বেড়েছে, তবে দোকানগুলো মজুদের চালকে ভিন্ন ধরনের চাল হিসেবে বিক্রি করছে বলে মনে হচ্ছে। সম্ভবত এ কারণেই সামগ্রিকভাবে দামের উপর প্রভাব কম।” সরকার গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত মজুদের চালের নিলাম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে ফুইয়ুকি বলছেন, দাম স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ না নিলে কিছুই পরিবর্তন হবে না। তিনি আরও বলেন, যেসব স্থানে চালের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি, সেখানে চাল পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন