অর্থ লোপাটের অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন ভারতের হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারত সরকারের অনুরোধে বেলজিয়ামে পালিয়ে থাকা ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চোকসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি করেছিলেন তিনি । তার এই অপকর্মে সহায়তা করেছেন আরেক ব্যবসায়ী নীরব মোদী। সম্পর্কে তিনি চোকসির ভাগ্নে। ভারত সরকারের আশা, দ্রুতই বেলজিয়াম সরকার গ্রেফতার দুজনকে ফেরত পাঠাবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে বেলজিয়ামের নাগরিকত্ব লাভ করে সেখানেই থাকতে শুরু করেন ‘গীতাঞ্জলি জেম্স’-এর কর্তা মেহুল। বেলজিয়ামে ছিলেন তার স্ত্রী প্রীতিও। ১২ এপ্রিল চোকসিকে হাসপাতাল গ্রেফতার করা হয়।
২০১৮ সালে প্রথম পিএনবি কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই মামলায় চোকসি-নীরব ছাড়াও নাম জড়ায় পিএনবি-র কিছু কর্মী ও কর্তার। শোরগোল পড়ে গোটা দেশে। কীভাবে কেলেঙ্কারি হয়েছিল? অভিযোগ, ব্যাঙ্কেরই কয়েকজন কর্মীর সাহায্যে ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেন নীরব এবং তার মামা চোকসি। অপরাধটি হয়েছিল মুম্বই কোর্টে অবস্থিত পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখায়। সেখান থেকেই বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার নামে ভুয়া ‘লেটার অফ আন্ডারটেকিং (এলওইউ)’ জারি করে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া হয়েছিল।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নিয়ম অনুযায়ী, নির্দেশিকা জারির পর থেকে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়। তার মধ্যেই ঋণ শোধ করতে হয়। কিন্তু অভিযোগ, পিএনবি অনুমোদিত এলওইউ আরবিআইয়ের নিয়ম না মেনেই জারি করা হয়েছিল। সেখানে সময়ের উল্লেখ ছিল না। এমনকি, তদন্ত এড়াতে পিএনবি-র কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় তথ্য নথিভুক্তও করা হয়নি। জানা যায়, এই কারণে পিএনবি-র ৬,৩৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ওই নথির ভিত্তিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক-সহ অন্যান্য ব্যাঙ্কও ঋণ দিয়েছিল ওই দুই ব্যবসায়ীকে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন