নিউইয়র্কের পর বিলিয়নেয়ারের সংখ্যায় এগিয়ে মস্কো – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

নিউইয়র্কের পর বিলিয়নেয়ারের সংখ্যায় এগিয়ে মস্কো

  • ১০/০৪/২০২৫

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর এখনো পশ্চিমা দেশগুলোর বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর এখনো পশ্চিমা দেশগুলোর বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশটির ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েই চলেছে। গত বছর অতিসম্পদশালীদের সংখ্যা বাড়ায় বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নেয়ার শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো। এ তথ্য দিয়েছে ফোর্বস ওয়ার্ল্ডস বিলিয়নেয়ারস লিস্ট। মস্কোর বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদ এখন ৪০৯ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। অবশ্য হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, মিলিয়নেয়ার, সেন্টি-মিলিয়নেয়ার ও বিলিয়নেয়ার মিলিয়ে সম্পদশালী শহরের তালিকায় মস্কোর অবস্থান বেশ নিচের দিকে। খবর আরটি ও আনাদোলু।
ফোর্বসের তালিকায় আগের বছরও দ্বিতীয় স্থানে ছিল মস্কো। তবে তখন হংকংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে অবস্থান ভাগাভাগি করে শহরটি। তালিকায় সবচেয়ে বেশি বিলিয়নেয়ার যোগ করা শহরও মস্কো, ১৬ জন। সব মিলিয়ে এ শহরে ৯০ বিলিয়নেয়ারের বসবাস। তারা এক বছরে ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার সম্পদ অর্জন করেছেন। মস্কোর বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ভাগিত আলেকপারভ। তার সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার। জ্বালানি তেল কোম্পানি লুকোইল থেকে এসেছে তার অধিকাংশ সম্পদ। এদিকে টানা চতুর্থ বছরে বিলিয়নেয়ারদের শীর্ষ শহর হিসেবে অবস্থান বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক। এখানকার ১২৩ ব্যক্তি ৭৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক।
তৃতীয় স্থানে থাকা হংকংয়ের ৭২ বিলিয়নেয়ার ৩০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদের মালিক। আগের বছরের তুলনায় এক দফা পিছিয়ে পড়লেও শহরটি এশিয়ায় শীর্ষ বিলিয়নেয়ার কেন্দ্র হিসেবে অবস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে। নয় নতুন বিলিয়নেয়ার তালিকায় যোগ করেছে লন্ডন। যুক্তরাজ্যের রাজধানী বর্তমানে ৭১ জন বিলিয়নেয়ারের আবাসস্থল, যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে চীনের বেইজিং ও ভারতের মুম্বাই। যেখানে ৬৮ ও ৬৭ জন বিলিয়নেয়ার বাস করছেন। ৬০ জন বিলিয়নেয়ার নিয়ে সিঙ্গাপুর সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। চীনের সাংহাই ও যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো যৌথভাবে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে, প্রতিটি শহর ৫৮ জন করে বিলিয়নেয়ারের আবাসস্থল। ৫৬ বিলিয়নেয়ার নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস শীর্ষ দশের মধ্যে স্থান পেয়েছে। ফোর্বস জানিয়েছে, বিশ্বের মোট ৩ হাজার ২৮ বিলিয়নেয়ার আট শতাধিক শহরে বাস করছেন। এর প্রায় এক-চতুর্থাংশ ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারের মালিক, তারা শীর্ষ দশ শহরের যেকোনো একটিতে বসবাস করছেন।
এদিকে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের চলতি বছরের ‘ওয়ার্ল্ডস ওয়েলদিয়েস্ট সিটিজ রিপোর্টে’ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শহরের খেতাব ধরে রেখেছে নিউইয়র্ক। সেখানে বলা হচ্ছে, শহরটিতে বর্তমানে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ মিলিয়নেয়ার, ৮১৮ সেন্টি-মিলিয়নেয়ার এবং ৬৬ বিলিয়নেয়ার রয়েছে। মূলত সম্পদের হিসাবের ধরন ও হালনাগাদ প্রক্রিয়ার কারণে ফোর্বসের সঙ্গে এ প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিলিয়নেয়ারের সংখ্যায় পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে ‘দ্য বিগ অ্যাপল’ হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক এখনো বৈশ্বিক ধনীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
ধনী ব্যক্তিদের সংখ্যা বিশেষ করে হাই-নেট-ওয়ার্থ ইন্ডিভিজুয়াল (এইচএনডব্লিউআই), সেন্টি-মিলিয়নেয়ার ও বিলিয়নেয়ারদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। এতে অবশ্য শীর্ষ দশে মস্কোর নাম নেই। নিউইয়র্কের পরই রয়েছে সান ফ্রান্সিসকো ও সিলিকন ভ্যালি অন্তর্ভুক্ত থাকা বে এরিয়া। এখানে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ মিলিয়নেয়ার রয়েছে। তবে ৮২ বিলিয়নেয়ার আবাসস্থল হয়ে নিউইয়র্ককেও ছাড়িয়ে গেছে। মূলত প্রযুক্তিনির্ভর সম্পদের কারণে গত এক দশকে এখানে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে ৯৮ শতাংশ। জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচকের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের কারণে জাপানের টোকিও ২ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ মিলিয়নেয়ার নিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা সিঙ্গাপুর ২ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ মিলিয়নেয়ারের আবাসস্থল। দুবাই ১৮তম স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে এখন ৮১ হাজার ২০০ মিলিয়নেয়ার রয়েছে। গত এক দশকে এখানে ১০২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। সবচেয়ে দ্রুতগতিতে ধনী জনগোষ্ঠী বেড়েছে ২৮তম অবস্থানে থাকা চীনের শেনঝেন, যেখানে মিলিয়নেয়ার বেড়েছে ১৪২ শতাংশ। এছাড়া শীর্ষ ৫০ তালিকায় থাকা শহরের মধ্যে শুধু লন্ডন ও মস্কোয় গত এক দশকে মিলিয়নেয়ার হ্রাস দেখেছে যথাক্রমে ১২ ও ২৫ শতাংশ।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us