ব্রাসেলসে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ-ইইউ – The Finance BD
 ঢাকা     রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

ব্রাসেলসে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ-ইইউ

  • ০৮/০৪/২০২৫

অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব উপাদান থাকা এই চুক্তির দরকষাকষি নিয়ে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ব্রাসেলসে বৈঠকটি হতে যাচ্ছে। দুই দিনের এ বৈঠক নিয়ে ঢাকা-ব্রাসেলসের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আগামী ১০-১১ এপ্রিল পিসিএ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ-ইইউ। গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় পিসিএ নিয়ে সার্বিক আলোচনার পর এটি হবে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। বাংলাদেশের পক্ষে প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব মিশনস) মো. নজরুল ইসলাম। অন্যদিকে, ইইউর পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পামপোলিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের সম্পর্কের শুরুতে ইইউ ছিল বাংলাদেশের কাছে দাতাগোষ্ঠী (উন্নয়ন অংশীদার), যা পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক পর্যায়ে উন্নীত হয়। ২০০১ সালে ইইউর সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তিতে অর্থনীতি, উন্নয়ন, সুশাসন কিংবা মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। সময়ের ব্যবধানে ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের সক্ষমতা বেড়েছে। অবস্থান আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে পিসিএ করার আলোচনা শুরু করেছে ইইউ। প্রায় বছর দেড়েকের আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পিসিএ নিয়ে ইইউর সঙ্গে এটা হবে প্রথম আনুষ্ঠানিক আলোচনা। এতে পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ তথা সম্পর্কের সব উপাদান থাকবে। ২০০১ সালে ইইউর সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি ছিল। এখন এটিকে উন্নীত করে কমপ্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট করা হচ্ছে। আগে চুক্তিতে ছিল চার-পাঁচটি উপাদান। এখন ৩৫টি উপাদান, বিস্তৃত পরিসর। বাংলাদেশ সরকারের ৫৫ এজেন্সি এর সঙ্গে যুক্ত। চুক্তির আওতায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন, শ্রম অধিকার, জলবায়ু ইস্যু, এনার্জি, ফিশারিজ, ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ, দক্ষ অভিবাসন, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, কৃষি; মোটামুটি সব আছে এই পিসিএ-তে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিসিএ চুক্তি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার অনেক বড় হবে। পাশাপাশি ইউরোপের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে উৎপাদনমুখী কার্যক্রম নিতে উৎসাহ পাবে। এছাড়া, ইউরোপের বাজারের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের আরও একাধিক বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ নিতে পারবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় পিসিএ-র প্রাথমিক তথা বাংলাদেশ-ইইউর সম্পর্কের একটি রোডম্যাপ এবং সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দিনব্যাপী ওই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশকে পিসিএ নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া। যার নেতৃত্বে দিয়েছিলেন এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পামপোলিনি।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us