এআই বিভাগের প্রধান মুস্তাফা সুলেমান যখন মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, তখন মাইক্রোসফট কর্মী ইবতিহাল আবুসসাদ চিৎকার করে বলেন, আপনারা যুদ্ধ থেকে মুনাফা করছেন। গণহত্যার জন্য এআই ব্যবহার বন্ধ করুন। মাইক্রোসফটের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ইসরায়েলের সঙ্গে কোম্পানিটির সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়ে উঠেছিলেন কিছু কর্মী। ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। খবর এপি। এআই বিভাগের প্রধান মুস্তাফা সুলেমান যখন মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, তখন মাইক্রোসফট কর্মী ইবতিহাল আবুসসাদ চিৎকার করে বলেন, আপনারা যুদ্ধ থেকে মুনাফা করছেন। গণহত্যার জন্য এআই ব্যবহার বন্ধ করুন। এরপর তিনি মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলেন, মুস্তাফা, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। ৫০,০০০ মানুষ মারা গেছে এবং এই অঞ্চলে চলমান গণহত্যাকে মাইক্রোসফট শক্তি জোগাচ্ছে। সুলেমান তখন জবাব দেন— আপনার প্রতিবাদের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনাকে শুনতে পাচ্ছি। তখন আবুসসাদ চিৎকার চালিয়ে যান— আপনি এবং পুরো মাইক্রোসফট, সবার হাতেই রক্ত লেগে আছে। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেন। অনুষ্ঠানের আরেক অংশে যখন বিল গেটস, সাবেক সিইও স্টিভ বালমার ও বর্তমান সিইও সত্য নাদেলা মঞ্চে ছিলেন, তখন মাইক্রোসফটের আরেক কর্মী বানিয়া আগরওয়ালও প্রতিবাদ জানান। ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরুর পর তাদের সামরিক বাহিনী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। প্লাস নাইন সেভেন টু ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রোসফটের এআই ও ক্লাউড পরিষেবার বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইক্রোসফট ইসরায়েলের সব বড় সামরিক অবকাঠামোতেই রয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক অনুসন্ধানেও জানা গেছে, গাজা ও লেবাননে হামলার সময় লক্ষ্য নির্ধারণে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মাইক্রোসফট ও ওপেনএআই-এর এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালে লেবাননের একটি পরিবারের তিন শিশু ও তাদের দাদী একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। ধারণা করা হয়, হামলার লক্ষ্যবস্তু এআই প্রযুক্তির সাহায্যে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই ঘটনার মাধ্যমে আরো একবার প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মানবাধিকার ও যুদ্ধক্ষেত্রে ভূমিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন উঠছে।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন