২৩ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন আমদানির ওপর শুল্ক কমাবে ভারত – The Finance BD
 ঢাকা     মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

২৩ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন আমদানির ওপর শুল্ক কমাবে ভারত

  • ২৬/০৩/২০২৫

ভারতীয় কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, পারস্পরিক শুল্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার ওপর নির্ভর করবে অর্ধেকেরও বেশি মার্কিন আমদানির ওপর শুল্কে কাটছাঁট। ক্ষেত্রবিশেষে শুল্ক সমন্বয় এবং প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা বিবেচনাসহ অন্য বিকল্প ভাবা হচ্ছে। একটি বাণিজ্য চুক্তির প্রথম পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। বাস্তবায়িত হলে এটি হবে সাম্প্রতিক বছরে দেশটির সবচেয়ে বড় শুল্ক কাটছাঁট। মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পারস্পরিক শুল্ক কমাতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। খবর রয়টার্স।
পারস্পরিক শুল্ক আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে পারে। নতুন এ বাণিজ্য বাধা ঘোষণার পর থেকেই বাজার বিঘ্নিত করেছে। এমনকি ট্রাম্পের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যেও এ শুল্ক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের বৈশ্বিক রেসিপ্রোকাল ট্যারিফের কারণে ৬৬ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের ভারতীয় রফতানির ৮৭ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারত সরকারের সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাণিজ্য চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আমদানিকৃত ৫৫ শতাংশ পণ্যে শুল্ক কমাতে প্রস্তুত ভারত। ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের এসব পণ্যের বেশির ভাগে বর্তমানে শুল্কের পরিমাণ ৫-৩০ শতাংশের মধ্যে বলে দুটি সরকারী সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে শুল্ক বাতিল করার সিদ্ধান্তে আসতে পারে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি পণ্যে গড় শুল্কের (ট্রেড-ওয়েটেড অ্যাভারেজ ট্যারিফ) হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। এর বিপরীতে ভারতে গড় শুল্ক ১২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৪৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। গত মাসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে দুই দেশ বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করবে বলে জানায়। তখন শুল্ক সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব সমাধানের কথাও উঠে আসে। কিন্তু পরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্যে ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এখন পারস্পরিক শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই চুক্তি করতে চাইছে ভারত। এ উদ্দেশ্যে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেনডান লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারতে আসছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, পারস্পরিক শুল্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার ওপর নির্ভর করবে অর্ধেকেরও বেশি মার্কিন আমদানির ওপর শুল্কে কাটছাঁট। ক্ষেত্রবিশেষে শুল্ক সমন্বয় এবং প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা বিবেচনাসহ অন্য বিকল্প ভাবা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে বিজয়ের পর প্রথম দিকে অভিনন্দন জানানো বিশ্ব নেতাদের অন্যতম নরেন্দ্র মোদি। তবে সম্প্রতি একাধিকবার ভারতের শুল্ক নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ ও ‘শুল্কের মাধ্যমে শোষণকারী’ বলে অভিহিত করেছেন। সঙ্গে এও জানান কোনো দেশকেই শুল্ক থেকে মুক্তি দেবেন না।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us