বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে দীর্ঘমেয়াদি গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প চালু করল ইন্দোনেশিয়া। এর অধীনে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত ভিসা দেবে দেশটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় অর্থনীতির দেশটির প্রধান লক্ষ্য হলো বড় অঙ্কের বিনিয়োগ আনা। নতুন এই গোল্ডেন ভিসানীতির আওতায় দুই ধরনের সুযোগ দেয়া হবে। এর মধ্যে একটি হলো পাঁচ বছর মেয়াদি ভিসা ও অন্যটি হলো ১০ বছর মেয়াদি ভিসা।
পাঁচ বছরের ভিসা পেতে হলে কোনো ব্যক্তিকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন বা ২৫ লাখ ডলারের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এক্ষেত্রে ১০ বছরের ভিসা পেতে হলে লাগবে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলার।
যদি কেউ কোম্পানি খুলতে না চান তাহলে সাড়ে তিন লাখ ডলার বিনিয়োগে মিলবে পাঁচ বছরের ভিসা ও সাত লাখ ডলারে মিলবে ১০ বছরের ভিসা। ইন্দোনেশিয়ার সরকারি বন্ড, পাবলিক কোম্পানির শেয়ার ও ডিপোজিটের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করা যাবে।
এক্ষেত্রে করপোরেট বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে ভিন্ন নিয়ম। ডিরেক্টর ও কমিশনারদের জন্য পাঁচ বছরের ভিসা পেতে হলে কোনো কোম্পানিকে ২৫ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে ১০ বছরের ভিসা পেতে হলে লাগবে ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ডলারের বিনিয়োগ।
গোল্ডেন ভিসাধারীদের একচেটিয়া সুবিধা দেবে ইন্দোনেশিয়া। এসব সুবিধার মধ্যে রয়েছে-অবস্থানের সময়সীমা, প্রবেশ ও প্রস্থান পদ্ধতি এবং ইমিগ্রেশন অফিসগুলোয় ভিসা আবেদনের জটিলতা দূর করা।
বিদেশি বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, মেধাবী ও নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি পর্যটককে এ বিশেষ ভিসা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্দিষ্ট বিনিয়োগের মানদণ্ড পূরণকারী বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাঁচ থেকে ১০ বছরের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন।
গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো এই ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেন। জাকার্তায় প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উইদোদো বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় এসে বিনিয়োগ ও দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে গোল্ডেন ভিসা। বিনিয়োগকারীদের জন্য ইন্দোনেশিয়াকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য হওয়া উচিত। বিশ্বব্যাপী মেধাবীদের কাজের ক্ষেত্র হওয়া উচিত এই দেশ। মানবসম্পদের মানোন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জন্য একটি বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করবে গোল্ডেন ভিসা।
গোল্ডেন ভিসা আবেদনকারীদের সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জোকো উইদোদো বলেন, দেশের জন্য অবদান রাখতে পারবেন- এমন প্রমাণিত ব্যক্তিরাই শুধু এই বিশেষ ভিসা পাবেন। বাছাই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় সুবিধার বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচ্য গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
খবর: রয়টার্স।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন