যুক্তরাষ্ট্রে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ করে ও চীনের পণ্যে বর্তমান হারের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ নির্দেশে নতুন এক বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি তৈরি হওয়া এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দাভাব ও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। কেননা দেশ তিনটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে কানাডা ২৫ শতাংশ শুল্প আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারদের অন্যতম চীন, কানাডা ও মেক্সিকো। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ৪০ শতাংশ গেছে এ তিন দেশ থেকে। তিনটি দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া, ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটি কানাডা থেকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের অপরিশোধিত তেল আমদানি করে। এটি ছিল কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পণ্যের প্রায় এক–চতুর্থাংশ। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ ঘোষণার আগেই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারদের নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধি কমা ও পণ্যের দাম বাড়ার সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের শুল্কারোপ নিয়ে হোয়াইট হাউসের নথিপত্রে বলা হয়েছে, ‘সংকট না কমা পর্যন্ত’ শুল্ক বহাল থাকবে। কিন্তু শুল্কারোপের স্থগিতাদেশ পেতে দেশ তিনটিকে কী করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেনি হোয়াইট হাউস। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন রিপাবলিকানরা। বিপরীতে ডেমোক্র্যাটরা পণ্যমূল্যের ওপর এ পদক্ষেপের প্রভাব নিয়ে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফরেন ট্রেড কাউন্সিলের (এনএফটিসি) সভাপতি জ্যাক কোলভিন বলেছেন, ট্রাম্পের পদক্ষেপ ‘অ্যাভোকাডো থেকে শুরু করে অটোমোবাইল পর্যন্ত’ সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। উত্তেজনা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর প্রতি দ্রুত একটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি।
খবর: রয়টার্স ও বিবিসি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন