মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয় ইরানে উৎপাদিত মাইক্রোইলেকট্রনিক্স সামগ্রী কিনছে বলে খবর দিয়েছেন ইরানের ন্যাশনাল মাইক্রোইলেকট্রনিক্স প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিমা আর্জমান্দি।
তিনি ন্যানো ও শিল্প থিঙ্ক ট্যাঙ্কে অনুষ্ঠিত মাইক্রোইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম ও উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের এক বৈঠকে এ তথ্য জানান।
ইরানের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে জানিয়ে আর্জমান্দি বলেন: ইরানের কোনো কোনো মাইক্রোইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান নাসা ও গওঞ’র কাছে তাদের মাইক্রোইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম ও সফ্টওয়্যার বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ইরানের এসব কোম্পানির ১৫টি দপ্তর রয়েছে এবং তারা এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সামগ্রী রপ্তানি করতে পেরেছে। পার্সটুডে ফার্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, আর্জমান্দি আরো বলেন: ইরানে মাইক্রোচিপসের বাজারের ওপর কারো একচেটিয়া আধিপত্য নেই; উদাহরণস্বরূপ, ইরানের কয়েকটি কোম্পানি সিলিকন সামগ্রী উৎপাদন ও রপ্তানি করছে।
মাইক্রোইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও কয়েকটি কোম্পানি ইরানের ন্যানো হেডকোয়ার্টার্সের অধীনে তাদের কর্মতৎপরতা শুরু করেছে এবং তাদের পণ্য উৎপাদন জোর গতিতে চলছে। আর্জমান্দির দেয়া তথ্য অনুসারে, এসব কোম্পানি এখন বিশাল বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
ইরানের ন্যাশনাল মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘পিশরান’ নামের ন্যাশনাল চিপ ডিজাইন সেন্টার চালুর কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন: এই কেন্দ্রটি মাইক্রোচিপ ডিজাইনে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান যা ইরানের প্রত্যেকে ব্যবহার করতে পারে। এটি কোনও বিশেষ অধ্যাপক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের একচেটিয়া অধিকারভুক্ত নয় বলেও তিন জানান।
আরজামান্দি বলেন: পিশরান ন্যাশনাল চিপ ডিজাইন সেন্টারে চিপ ডিজাইনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো রয়েছে এবং এটি মাইক্রোচিপ ডিজাইন করতে ও পণ্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা করতে সহায়তা করে। (Source: PARS Today)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন