ডেমোক্র্যাটরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সরকারি অচলাবস্থা এড়িয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার পরামর্শদাতা বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ককে হারিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন দলটির আইনপ্রণেতারা। তারা বলেছেন, হাউস এবং সিনেটে দ্বিদলীয় নেতৃত্বের সমঝোতার একটি বিল বাতিলের চেষ্টা করা অনির্বাচিত মাস্ক গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তাকে ঠেকিয়ে দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ইলন কখনই ভালো স্পিকার হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসওম্যান সারা জ্যাকবস।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত দুই বছরের মতো ট্রাম্প প্রশাসনকে সচল রাখতে ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের ওপর নির্ভর করতে হবে হাউস স্পিকার মাইক জনসনকে। তবে ভবিষ্যতে নীল শিবির (ডেমোক্রেট) জনসনকে কোনো ছাড় দেবেনা বলে সতর্ক করেছেন টেক্সাসের ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসওম্যান জেসমিন ক্রকেট। তিনি বলেছেন, ১১৮তম কংগ্রেস তেমন কার্যকর ছিলোনা বলে অভিযোগ উঠেছে। দেখা যাক, ১১৯তম কংগ্রেস কতটা কার্যকর তুলে পারেন রিপাবলিকানরা। আসছে ৩ জানুয়ারি নতুন কংগ্রেসের স্পিকার নির্বাচন। মাইক জনসন এই পদ ধরে রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এছাড়া গত এক সপ্তাহে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের মাঝে যে অরাজক পরিস্থিতি দেখা গেছে তা নিয়ে এরই মধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটি বলছে, আসছে ট্রাম্প প্রশাসনে যেকোনো বিল পাশেই অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওভাল অফিসের দায়িত্ব নেয়ার পর নীল শিবিরকে আগের মতো উজ্জীবিত নাও দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে স্বল্প ব্যবধানে জিওপির (রিপাবলিকান পার্টি) নিয়ন্ত্রণ থাকা হাউসে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, মূল দ্বিদলীয় বিল আটকে দিয়ে ইলন মাস্ক নিজের শক্তিমত্তা প্রকাশ করেছেন। হাউস মাইনোরিটি লিডার নীল শিবিরের আইনপ্রণেতাদের ঐক্যবদ্ধ রেখে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। কিন্তু সরকারকে অচলাবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন পরাজয়ের গ্লানি পেয়েছেন, তেমনি নিশ্চুপ থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া স্পিকারের দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন মাইক জনসন।
খবর: এমএসএনবিসি।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন