জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাপান। আগামী দশকের শুরুতে দেশটির সব নতুন গাড়ি চলবে বায়োফুয়েল বা জৈব জ্বালানিতে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাপান। আগামী দশকের শুরুতে দেশটির সব নতুন গাড়ি চলবে বায়োফুয়েল বা জৈব জ্বালানিতে। সম্প্রতি কার্বন নিঃসরণ প্রতিরোধে অটোমেকারদের নতুন ধরনের উদ্ভাবনের মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রচলিত জ্বালানির সঙ্গে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বায়োফুয়েলের সংমিশ্রণ যানবাহনের নতুন উদ্ভাবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী গ্রীষ্মের মধ্যে এ বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে বেসরকারি খাতের সঙ্গে কাজের পরিকল্পনাও রয়েছে।
বায়োফুয়েল মূলত উদ্ভিদ থেকে রূপান্তরিত জ্বালানি, যা যানবাহন, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম চালাতে ব্যবহার করা যায়। উদ্ভিদ বেড়ে উঠতে পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে, বিপরীতে জ্বালানি হিসেবে পোড়ানোর পর আবার বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। এভাবে গ্রহণ-নিঃসরণের মাধ্যমে একটি কার্বন-নিরপেক্ষ চক্র তৈরি হয়। এর মানে হলো গ্যাস বা জ্বালানি তেলের মতো প্রথাগত জ্বালানির তুলনায় পরিবেশে কম কার্বন নিঃসৃত হয়।
বর্তমানে সড়কে থাকা বেশির ভাগ যানবাহন প্রায় ৩ শতাংশের কম ঘনত্বের বায়োফুয়েল ব্যবহার করতে পারে। এ স্তরকে ২০ শতাংশে উন্নতি করতে জ্বালানি নিরাপত্তা ও কার্বন নিঃসরণের ওপর প্রভাব যাচাই করে নতুন মান নির্ধারণ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বায়োফুয়েল ব্যবহারের নতুন প্রতিশ্রুতির কারণে জাপানকে বিশেষায়িত এ জ্বালানির সরবরাহ স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে হবে। এ সমস্যা সমাধানে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ২০৩০ অর্থবছরের মধ্যে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বায়োফুয়েল মিশ্রিত জ্বালানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে পেট্রোলিয়াম পাইকারসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করবে। ২০৪০ অর্থবছরের মধ্যে জ্বালানিতে বায়োফুয়েলের মিশ্রণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হবে। (খবরঃ জাপান টুডে)।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন