ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরবর্তী প্রজন্মের ২৫টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ও কংগ্রেসে অনুমোদিত সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে এই যুদ্ধবিমান কেনা হবে। এ জন্য ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন (৫২০ কোটি) ডলারের একটি চুক্তি হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই যুদ্ধবিমানগুলোর সরবরাহ ২০৩১ সালে শুরু হবে। বছরে ৪ থেকে ৬টি এয়ারক্রাফট সরবরাহ করা হবে।
এয়ারক্রাফটগুলো বিদ্যমান ইসরায়েলি অস্ত্রের সঙ্গে সমন্বিত অস্ত্র ব্যবস্থায় সজ্জিত হবে। একই সঙ্গে বর্ধিত পরিসীমা ও পেলোড থাকবে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিমানগুলো হাতে এলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান ও ভবিষতের সংকট মোকাবিলায় কাজ করতে পারবে। এই যুদ্ধবিমানগুলো বিদ্যমান ইসরায়েলি অস্ত্রের সঙ্গে একীভূত উন্নত অস্ত্রব্যবস্থা, দীর্ঘ পাল্লা ও ব্যাপক পণ্যবহন ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত থাকবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আয়াল জমির বলেন, এই বছরের শুরুতে সংগ্রহ করা এফ-৩৫ স্কোয়াড্রনের পাশাপাশি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান আকাশ প্রতিরক্ষায় সক্ষমতা বাড়বে।
আয়াল জমির জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি সরকার এক্ষেত্রে ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি করেছে। এদিকে মার্কিন প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগামী জানুয়ারিতে অফিস ছেড়ে যাওয়ার আগেই হোয়াইট হাউস ইউক্রেনে আরও বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ার আগেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হতে পারে।
বাইডেন প্রশাসনের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রাখতেৃ (বাইডেন) প্রশাসন এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই বাইডেন প্রশাসনের তরফ থেকে ইউক্রেনকে দেয়া সহায়তার সমালোচনা করেছেন।
ইউক্রেনকে নতুন ৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথগ্রহণের আগেই বাইডেন প্রশাসন কিয়েভে ৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাঠাবে।
খবর : রয়টার্স।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন