বৈদ্যুতিক গাড়ির বিশ্ববাজার দখলের দৌড়ে চীন কি এরমধ্যেই জিতে গেছে? – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

বৈদ্যুতিক গাড়ির বিশ্ববাজার দখলের দৌড়ে চীন কি এরমধ্যেই জিতে গেছে?

  • ০৩/১১/২০২৪

আসলে এই গাড়িগুলোই কব্জায় নিচ্ছে চীনের স্থানীয় বাজার। আর একদিন তারা পুরো পৃথিবীও দখল করবে।
শেনঝেন থেকে ডংগুয়ান ও গুয়ানঝৌ পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে চলে গেছে চীনের মূল শিল্পাঞ্চলের বুক চিড়ে। যদি কিছুক্ষণ এই সড়কে চোখ রাখেন, দুনিয়ার তামাম ব্র্যান্ডের সব মডেলের গাড়িই দেখতে পাবেন। দেখবেন, দৈত্যাকৃতির ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যাংকার লরি পাশ কাটিয়ে এগোচ্ছে টয়োটার সেডানগুলো। চকচকে মার্সিডিজ বা মেবাখে চড়ে যাচ্ছেন হয়তো কোনো প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী। এরমধ্যে নিঃশব্দে ছুটে চলা টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির দ্যুতিও চোখ কাড়বেই। ভক্সওয়াগনের বহুল ব্যবহৃত গলফ চুগ মডেলের কারও দেখবেন এই পথে অনেক। কিন্তু, দুনিয়ার চেনাশোনা এসব মডেলের কারের বাইরে অর্ধেক গাড়ি দেখবেন আপনার কাছে অপরিচিত। এই সড়কে চলা প্রতি দুটি গাড়ির মধ্যে একটির ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, বিচিত্র সব ডিজাইনের হেডলাইটওয়ালা অনেক গাড়ি বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তিতে ছুটছে।
আসলে এই গাড়িগুলোই কব্জায় নিচ্ছে চীনের স্থানীয় বাজার। আর একদিন তারা পুরো পৃথিবীও দখল করবে।
চীনে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত গাড়ির ব্যবহার দিনকে দিন বাড়ছে, আর তাতে ক্ষতি হচ্ছে সুদূর দেশে (গাড়ি রপ্তানির উৎসে)। যেমন জার্মানিতে প্রথমবারের মতো তাদের কিছু কারখানায় তালা ঝোলানোর পরিকল্পনা করছে ভক্সওয়াগন। এতে বেকার হয়ে পড়বে হাজার হাজার কর্মী, কারণ চীনা গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না জার্মান উদ্যোক্তারা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অটোমোবাইল মার্কেট– চীনের স্থানীয় বাজারের অংশীদারত্ব ক্রমশ হারাচ্ছে তারা।
কিন্তু, এতো সবে শুরুমাত্র। দুনিয়ার তামাম নামীদামী কার উৎপাদকদের (চীনের বাইরের) এখন খরচ আরও কমানোর অঙ্গীকার করতে হচ্ছে, সরকারের কাছেও ভর্তুকি ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। একইসঙ্গে চাইছেন আমদানি করা (চীনা) গাড়ির ওপর বাড়তি শুল্কারোপ। ঠিক যেমনটা সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনয়ন (ইইউ) করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের গাড়ি উৎপাদকরা প্রচলিত অন্তর্দাহ ইঞ্জিনচালিত গাড়ি উৎপাদনে আস্থা রেখেই এই রেসে টিকে থাকতে চান। কিন্তু, পুরোনো এসব ধ্যানধারণা আর পদক্ষেপ কাজে দেবে না। এগুলোর লক্ষ্য যদিওবা স্থানীয় কর্মসংস্থান রক্ষা করাও হয়– তবুও এহেন প্রচেষ্টা ব্যর্থতাতেই পর্যব্যসিত হবে।
কারণ, এটা শুধু চীন বা বৈদ্যুতিক গাড়ির বিষয় নয়, বরং এদুয়ের সম্মিলন। অর্থাৎ, চীনের কম খরচে উৎপাদনের সাথে যুক্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদনের দক্ষতা। স্থানীয় বাজার দখলের মাধ্যমেই বিশ্বকে জয় করার ভবিষ্যৎ সামনে এনেছে – দামে ভোক্তাবান্ধব এসব গাড়ি। (সূত্রঃ দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us