উত্তর-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এ কারণে চলতি সপ্তাহে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা কমেছে। ফলে এ সময় এশিয়ার স্পট মার্কেটে জ্বালানি পণ্যটির দাম স্থিতিশীল ছিল।
শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিসেম্বরে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় সরবরাহের জন্য চলতি সপ্তাহে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির গড় দাম ছিল ১৩ ডলার ৮০ সেন্ট। রাবোব্যাংক লন্ডনের শক্তি কৌশলবিদ ফ্লোরেন্স স্মিট বলেন, ‘ইউরোপে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, নভেম্বরে এ দেশগুলোর তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে। ফলে এ সময় বিদ্যুৎ ব্যবহার তুলনামূলক কম হবে। এছাড়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশের জন্যও আবহাওয়া পূর্বাভাস ১০ বছরের গড়ের তুলনায় বেশি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এতে এ অঞ্চলেও গ্যাসের চাহিদা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপ ও এশিয়ার এমন আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির দামে প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস গত বৃহস্পতিবার ডিসেম্বরের সরবরাহ চুক্তিতে নর্থওয়েস্ট ইউরোপ এলএনজি মার্কার (এনডব্লিউএম) বাজার আদর্শে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম স্থির করেছে ১২ ডলার ৬৬৪ সেন্টে। এছাড়া নেদারল্যান্ডসে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভার্চুয়াল ট্রেডিং পয়েন্ট টিটিএফে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজিতে ২০ সেন্ট ছাড় দেয়া হয়েছে।
স্পার্ক কমোডিটিজের বিশ্লেষক কাসিম আফগান বলেন, ‘গত শুক্রবার আটলান্টিক সাগরপথে এলএনজি পরিবহনের ব্যয় রেকর্ড নিম্নে নেমেছে। ব্যয় কমে দৈনিক ১৮ হাজার ২৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পথে পরিবহন ব্যয় নেমে এসেছে দৈনিক ৩০ হাজার ৫০০ ডলারে।’ এর আগে আগস্টে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ইচথিস এলএনজি উৎপাদন কেন্দ্রের ট্রেন-২ বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে তা আবার চালু হয়। ফলে বাজারে জ্বালানিপণ্যটির সরবরাহ বেড়েছে। (খবরঃ বিজনেস রেকর্ডার)।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন