যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তহবিল সংগ্রহে এগিয়ে কমলা – The Finance BD
 ঢাকা     শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তহবিল সংগ্রহে এগিয়ে কমলা

  • ৩০/১০/২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় ৪০ শতাংশ এগিয়ে কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে অর্থ দরকার। তা জোগাড় করতে প্রার্থীরা বেশকিছু বিকল্প বেছে নেন। প্রার্থীরা তাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে প্রচারণা চালাতে পারেন। অথবা ব্যক্তিগত দাতাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। তহবিলের আরেকটি উৎস রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটি গ্রুপ থেকে আসে, যা প্যাক বা সুপারপ্যাক নামে বেশি পরিচিত। সরকারি তহবিল থেকেও অর্থ পেতে পারেন তারা।
যুক্তরাস্ট্রের নির্বাচনে অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয়ের তথ্য সংগ্রহ করে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওপেনসিক্রেটস। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯০৬ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে জো বাইডেনের প্রচারের জন্য দেয়া তহবিলও রয়েছে। অবশ্য জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পরে ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই বড় আকারে তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন হ্যারিস। এর বাইরে বাইরের কিছু গ্রুপ হ্যারিসকে কিছু গ্রুপ হ্যারিসকে সমর্থন করে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে সোয়া এক বিলিয়ন ডলার কমলা হ্যারিসের প্রচারাভিযানের তহবিলে যুক্ত হয়েছে। মোট সংগ্রহের ৫৬ শতাংশ এসেছে বড় দান থেকে। বাকি ৪৪ শতাংশ সংগ্রহ হয়েছে ২০০ ডলারের নীচে ব্যক্তিগত পর্যায়ের ছোট অবদানের মাধ্যমে।
এদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হ্যারিসের চেয়ে অনেক কম অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা দল ৩৬৭ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। হ্যারিসের চেয়ে এই পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশ কম। ওপেনসিক্রেটসের তথ্য অনুযায়ী, বাইরের গ্রুপগুলো আরও ৫৭২ মিলিয়ন ডলার ট্রাম্পের তহবিলে যোগ করেছে। ফলে ট্রাম্পের মোট তহবিল দাঁড়িয়েছে ৯৪০ মিলিয়ন ডলারে। ট্রাম্পের তহবিলের ৬৮ শতাংশের বেশি অবদানের এসেছে অতিধনীদের সমর্থন থেকে।
গত দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের চেয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তহবিল বড় ছিল। তারপরও ২০২০ সালে বাইডেনের কাছে হারার আগে ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে জিতেছিলেন ট্রাম্প। পেনসিলভেনিয়ার পেন স্টেট হ্যারিসবার্গের জননীতি এবং প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড্যান ম্যালিনসন মনে করেন, এই অসঙ্গতিই প্রমাণ করে যে অর্থ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটাই নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে পারে না। তবে ’বিলিয়ন ডলারের বিষয়ে’ পরিণত হওয়া অনুদানকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রার্থী, দল, রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটি এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও প্রচার চালানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে হয়।
শুধু সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টই নন মার্কিন সিনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৪টিতে এ বছর নির্বাচন হবে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ৪৩৫টি আসনে নির্বাচন হবে। ওপেনসিক্রেটসের তথ্য অনুযায়ী, এসব আসনে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সিনেট প্রার্থীদের সংগৃহীত মোট তহবিল দাঁড়িয়েছে এক দশমিক তিন আট বিলিয়নে। সমষ্টিগতভাবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রার্থীরা এক দশমিক সাত আট বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছেন।
প্রার্থীদের তহবিলে কারা দান করতে পারবেন, কারা পারবেন না, এ নিয়ে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের কঠোর নিয়ম রয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা গ্রিনকার্ডধারীরাই পার্টি বা প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর তহবিলে দান করতে পারেন। ফলে বিদেশি নাগরিকরা কোনোভাবেই নির্বাচনি তহবিলে দান করতে পারবেন না। দানের সীমাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি ঠিকাদার, কর্পোরেশন, জাতীয় ব্যাংক, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং অলাভজনক সংস্থাগুলোও ফেডারেল নির্বাচনে প্রার্থী বা দলগুলোর তহবিলে সরাসরি অবদান রাখতে পারবে না। প্রচারাভিযানে এই দান ব্যবস্থা অনেক ভোটারের মনে এমন ধারণা তৈরি করে যে অর্থদানের ফলে রাজনীতিবিদদের কাছে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এর ফলে দুর্নীতি বা গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা নষ্ট হওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে। মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস এবং জর্জ সোরোসের মতো ধনী আমেরিকানরা হ্যারিসকে সমর্থনকারী গ্রুপগুলোয় লাখ লাখ ডলার দান করেছেন। কেউ কেউ নিজস্ব সুপার প্যাক প্রতিষ্ঠা করেছেন।
খবর: ডয়চে ভেলে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us