জুনে এশিয়ার দেশগুলোয় এলএনজি আমদানি কমার পূর্বাভাস – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

জুনে এশিয়ার দেশগুলোয় এলএনজি আমদানি কমার পূর্বাভাস

  • ২৭/০৬/২০২৪

এশিয়ার দেশগুলোয় জুনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি গত মাসের তুলনায় কিছুটা কমার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। শীর্ষ আমদানিকারক চীন ও জাপানের নিম্নমুখী আমদানি এ মাসে এশিয়ার মোট আমদানি কমার পেছনে ভূমিকা রাখবে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলার সংকলিত ডাটা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে কেপলার জানিয়েছে, জুনেও ভারত চলমান তাপপ্রবাহের কারণে এলএনজি আমদানিতে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখবে।
কেপলারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুনে এশিয়ার দেশগুলোয় এলএনজি আমদানির পরিমান দাঁড়াতে পারে মোট ২ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার টন। আগের মাসে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
এর মধ্যে চীন জুনে ৬১ লাখ ৭০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করতে পারে। আগের মাসে যা ছিল ৬১ লাখ ৯০ হাজার টন। আর গত বছরের জুনে চীন মোট ৬১ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
জুনে জাপান মোট ৪৬ লাখ ৯০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করতে পারে। আগের মাসে দেশটি মোট ৪৮ লাখ টন ও গত বছরের জুনে ৪৯ লাখ ২০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
অন্যদিকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এলএনজি আমদানিতে জুনেও ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখবে এ মহাদেশের চতুর্থ শীর্ষ আমদানিকারক ভারত। এ সময় দেশটি মোট ২৭ লাখ ২০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা রেকর্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মে মাসে দেশটি মোট ২৪ লাখ ৬০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
এছাড়া জুনে ভারতের এলএনজি আমদানি গত বছরের একই সময় থেকে ৫৪ শতাংশ বাড়বে। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১৭ লাখ ৭০ হাজার টন।
এছাড়া চলতি বছরের প্রথমার্ধে ভারত মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছিল, যা গত বছরের একই সময় থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি। গত বছরের প্রথমার্ধে ভারত ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
অন্যদিকে কেপলার জানিয়েছে, জুনে এশিয়ার দেশগুলোর এলএনজি আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়তে পারে। গত বছরের জুনে এ অঞ্চলের দেশগুলো মোট ২ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
প্রসঙ্গত, এলএনজির বৈশ্বিক চাহিদা ২০৪০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে এশিয়ার দেশগুলোয় ৫-১০ বছরের মধ্যে এলএনজির চাহিদা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি দশকের শেষ দিকে বেশকিছু নতুন সরবরাহ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। এগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে অঞ্চলটি বাড়তি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। (খবর: রয়টার্স)

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us