ফ্রান্সের আইনপ্রণেতারা দেশটির বিলিয়নেয়ারদের ওপর ২ শতাংশ করারোপের পক্ষে মত দিয়েছেন। গত শুক্রবার ফরাসি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বাজেট আলোচনায় এ বিষয়ে সংশোধিত বিল উত্থাপন করে অতি বামপন্থী রাজনৈতিক দল এলএফআই। আলোচনা শেষে রেনেসাঁ পার্টি ও ন্যাশনাল র্যালি পার্টির বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়।
একই সময়ে বাজেটের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক ও সংশোধন করা হয়। পরে পুনরায় পর্যালোচনার জন্য ফ্রান্সের সিনেটে পাঠানো হয়। পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর করারোপের প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হলে ফ্রান্সের করদাতা এবং দেশটিতে সম্পদ রয়েছে, এমন বিদেশী নাগরিকরা ২ শতাংশ কর দিতে বাধ্য থাকবেন। শুক্রবার জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রাখার সময় এলএফআই দলের আইনপ্রণেতা অরেলিয়েন লে কক বলেন, ‘বাজেটে প্রায় সব পর্যায়ের নাগরিকের ওপর করের বোঝা চাপানো হয়েছে। কিন্তু একটি জায়গা ইচ্চাকৃতভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বাজেটে ধনীদের সম্পদ থেকে রাজস্ব আদায়ের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
লে কক বলেন, ‘ফ্রান্সের শীর্ষ ১০ জন ধনীর সম্পদের ওপর করারোপ করা হলে তা থেকে অন্তত ১ হাজার ৩০০ কোটি ইউরো আয় হতে পারে।’ অন্যদিকে বর্তমান সরকারের বাজেট ও পাবলিক অ্যাকাউন্টস বিষয়ক মন্ত্রী লরেন্ট সেন্ট-মার্টিন এ সংশোধনীর সমালোচনা করে বলেন, ‘এটি ফ্রান্সে বিনিয়োগকারীদের জন্য ভীতিকর পদক্ষেপ।’ ২০১৮ সালে ফ্রান্সে কর ব্যবস্থা আইএসএফে পরিবর্তন এনে আইএফআই নামে একটি নতুন কর প্রবর্তন করা হয়। আইএফআই কেবল রিয়েল এস্টেট সম্পদের ওপর প্রযোজ্য। অন্যদিকে আইএসএফ তুলনামূলক কম সম্পদের ওপর ধার্য করা হয়। সম্প্রতি ফরাসি সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের প্রয়োজন অনুভব করছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করারোপের প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছর ফ্রান্সের রাজস্ব ঘাটতি দেশের মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছে। এটি একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) লক্ষ্যমাত্রা ৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। গত মাসের শেষদিকে নতুন বাজেটমন্ত্রী লরেন্ট সেন্ট-মার্টিন জানান, চলতি বছর ঘাটতির হার ৬ শতাংশ ছাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুক্রবারের ভোটে প্রস্তাবিত করের পক্ষে রায় পাওয়া গেলেও ফরাসি সিনেটে পর্যালোচনায় এ প্রস্তাব টিকবে না। (খবরঃ ইউরো নিউজ)।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন