যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে কাজ করা মাস্ক এখন অভিবাসনবিরোধী! – The Finance BD
 ঢাকা     বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে কাজ করা মাস্ক এখন অভিবাসনবিরোধী!

  • ২৮/১০/২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে অল্প সময়ের জন্য হলেও অনুমতি ছাড়াই কাজ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া ধনকুবের ইলোন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রে অল্প সময়ের জন্য হলেও অনুমতি ছাড়াই কাজ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া ধনকুবের ইলোন মাস্ক। ওই সময়ে তিনি নিজের স্টার্টআপ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন ইলোন মাস্ক, তাকে প্রচারণায়ও দেখা যাচ্ছে। সেখানে ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নীতির পক্ষ নিয়েছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি অনুযায়ী ‘ওপেন বর্ডার’-এর বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করলেও টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্কের অতীত বলছে ভিন্ন কথা। ইলোন মাস্ক ১৯৯৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পর তার প্রথম কোম্পানি জিপটুর কাজ শুরু করেন। কোম্পানিটি পরে প্রায় ৩০ কোটি ডলারে বিক্রি হয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশী ছাত্ররা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে কোম্পানি তৈরি করতে পারে না, এমনকি যদি তাদের বেতনও না দেয়া হয়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার আগে শিক্ষার্থী ভিসার নিয়মগুলো তুলনামূলকভাবে শিথিল ছিল।
মার্কিন বিচার বিভাগীয় অভিবাসন আইনজীবী লিওন ফ্রেস্কো বলেন, ‘যদি আপনি এমন কিছু করেন, যা আয় সৃষ্টিতে সহায়তা করে, যেমন কোড ডিজাইন বা আয়ের উৎস তৈরির লক্ষ্যে বিক্রির চেষ্টা করা, তাহলে এটা সে সময় অবৈধ ছিল।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ শেষের পর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকার বিষয়টি বিরল ঘটনা নয়, তবু এটি বেআইনি। ইলোন মাস্কের টেসলায় বর্তমানে ১ লাখ ২১ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। স্পেসএক্স রয়েছে ১৩ হাজার কর্মী। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রায় তিন হাজার কর্মী রয়েছে।
এ ধনকুবেরের অভিবাসন নিয়ে এমন সময় বিতর্ক তৈরি হলো, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সরকারের দক্ষতা বাড়াতে মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখতে চান।
ইলোন মাস্ক সম্প্রতি কমলা হ্যারিস ও ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে তারা অবৈধ ও অস্থায়ী সুরক্ষা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ভোটার ‘আমদানি’ করছে। অন্যদিকে এক প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তকে ‘জম্বি অ্যাপোক্যালিপ্স’ হিসেবে তুলনা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে কাজের বিষয়ে মাস্কের বক্তব্য জানতে তার মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স, টেসলা, এক্স ও দ্য বোরিং কোম্পানিতে প্রতিনিধি পাঠানো হয়। এমনকি তার আইনজীবী অ্যালেক্স স্পাইরোর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন পোস্টে উল্লেখিত ২০২০ সালের একটি পডকাস্টে ইলোন মাস্ক এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘আমি আইনগতভাবেই সেখানে ছিলাম, তবে আমার ছাত্র হিসেবে কাজ করার কথা ছিল। আমাকে যেভাবেই হোক, নিজের খরচ বহন করার জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।’ ওই প্রতিবেদন তৈরিতে মাস্কের দুই সহকর্মীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তারা বলেছেন, ১৯৯৭ সাল বা তার কাছাকাছি কোনো একসময়ে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি পেয়েছিলেন এ ধনকুবের।
সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us