পর্যটন থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমেছে – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

পর্যটন থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমেছে

  • ২১/১০/২০২৪

বৈশ্বিক ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসছে। ২০২৩ সালে এ খাতের কর্মকাণ্ড থেকে ৩৫০ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়, যা মোট বৈশ্বিক নিঃসরণের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
বৈশ্বিক ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসছে। ২০২৩ সালে এ খাতের কর্মকাণ্ড থেকে ৩৫০ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়, যা মোট বৈশ্বিক নিঃসরণের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) পরিবেশসংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সাল থেকে দুই বছরে বিশ্বব্যাপী পর্যটন কর্মকাণ্ড কমতে থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ শিল্পের গতি প্রাক-মহামারী স্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আবার একই সময়ে বিকল্প জ্বালানিসহ সাশ্রয়ী উদ্ভাবনের পরিমাণ বেড়েছে।
সৌদি আরবের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ডব্লিউটিটিসি। এ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার পার্থে ২৪তম গ্লোবাল সামিটে সংস্থার প্রেসিডেন্ট জুলিয়া সিম্পসন জানান, ২০১৯ সালের ৭ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় গত বছর কার্বন নিঃসরণ কমেছে, ওই সময় পর্যটন সর্বোচ্চ থাকলেও গত বছরের তথ্য চলমান টেকসই প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।
তিনি আরো জানান, প্রাক-মহামারী স্তরের সঙ্গে তুলনা করলে পর্যটন শিল্প থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমেছে ১২ শতাংশ। জিডিপি প্রতি ইউনিট হিসেবে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমেছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
এসব পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জুলিয়া সিম্পসন বলেন, ‘এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ না বাড়িয়ে পর্যটন খাত সম্প্রসারণ হতে পারে।’
ইতিবাচক প্রবণতা সত্ত্বেও কিছুটা উদ্বেগও প্রকাশ করেন ডব্লিউটিটিসির প্রেসিডেন্ট। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো না গেলে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না।
বিদ্যমান ব্যবস্থাকে পুরোপুরি সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরে এ সম্পর্কিত সুযোগ চিহ্নিত করতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন জুলিয়া সিম্পসন। তিনি বলেন, ‘আমরা উন্মুক্ত হতে চাই, জবাবদিহি করতে চাই ও সৎ হতে চাই।’
প্রতিবেদন অনুসারে, এখনো ভ্রমণ শিল্পে প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে জ্বালানি তেল, যার পরিমাণ মোট শক্তির ৫৪ শতাংশ। ইতিবাচক দিক হলো ২০১৯ সালে কয়লার ওপর নির্ভরশীলতা ছিল ১৮ শতাংশ, যা গত বছর ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এর বিপরীতে পারমাণবিক ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের মতো অল্পমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ করে, এমন জ্বালানির উৎসের ব্যবহার বেড়েছে ৫ দশমিক ১ থেকে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
জুলিয়া সিম্পসন বলেন, ‘এ পরিসংখ্যানগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে আমাদের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।’
ডব্লিউটিটিসির প্রেসিডেন্টের মতে, জ্বালানি রূপান্তরের এ প্রক্রিয়ায় সরকারগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতীয় গ্রিডে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং পরিবহন ও উড়োজাহাজ শিল্পে টেকসই জ্বালানি উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে সরকারগুলো। বিশেষ করে আকাশপথে সবুজ রূপান্তর গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে সম্প্রসারণ হতে থাকা ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পের অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরে জুলিয়া সিম্পসন জানান, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক জিডিপিতে এ শিল্পের অবদান ছিল ৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার, যা প্রাক-মহামারী স্তরের তুলনায় ৪ শতাংশ নিচে।
সূত্র : আনাদোলু।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us